পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অঃ। জবরদস্ত খা । సి পরেই বিদ্রোহিদল পৰু দস্ত হইয়া পৃষ্ট প্রদর্শন করিল। হুবাদারী-সৈন্ত সন্ধা পৰ্য্যন্ত উহাদের অনুসরণ করিল। পর দিন প্রাতে পুনরায় উভয় পক্ষ যুদ্ধার্থ সম্মুখীন হইল ; এ যুদ্ধে ও জবরদস্ত খা সম্পূর্ণ জয়লাভ করিলেন। স্বৰাদারী সৈন্ত জয়োল্লাসে শত্রুশিবির লুণ্ঠন করিয়া বিদ্রোহীদিগের সংগৃহীত বিপুল লুষ্ঠিত ধনরত্ব হস্তগত করিল। জবরদস্ত স্বায় পরিশ্রান্ত সৈন্তগণের বিশ্রামের জন্ত তিন দিন যুদ্ধক্ষেত্রেই অবস্থান করিলেন। ইতিমধ্যে চতুঃপাশ্বের জমিদার ও জায়গীরদারগণের মধ্যে ঘোষণা প্রচার হইল, বিদ্রোহীরা পরাভূত হইয়াছে, এক্ষণে সৰ্ব্বপ্রযত্নে তাহদের পলায়নের পথ রুদ্ধ করা হউক, BB BB BBBBBB BBBB BSBB BBB BS BBBS BBB BBBBB শুভ ফল সত্বরেই প্রতীয়মান হইল। পাশ্ববৰ্ত্তী জমিদার ও থানাদারগণ সদলে জবরদন্তের সহিত যোগ দিলেন। প্রকৃতিপুঞ্জের মনে ভবিষ্যৎ-শাস্তির আশা সঞ্চারিত হইল। জবরদস্ত এক্ষণে আহত ও পীড়িত সৈন্তগণকে জলপথে ঢাকায় প্রেরণ করিলেন ; এই সঙ্গে মুল্যবান লুষ্ঠিত দ্রব্যাদি ও প্রেরিত श्ल । রহিম শা ইতিমধ্যে মুখ সুসাবাদে উপনীত হইয়া স্বীয় পলায়মান সেনাগণকে একত্রিত করিবার জন্ত সবিশেষ উদ্যোগ করিতেছিলেন । বাহকেও অর্থসাহায্য, কাহাকেও বা প্রয়োজনমত অস্ত্রাদি যুদ্ধোপকরণ প্রদান করিয়া তিন দিনের মধ্যে ছত্রভঙ্গ সেনাদল যথাকথঞ্চিং পুনঃ সংগঠিত করিলেন। যুদ্ধের চতুর্থ দিবসে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা স্বস্থির করিয়া জবরদস্ত খা মুখস্বসাবাদের দিকে অগ্রসর হইলেন । নগরের পূর্বপ্রান্তে বিস্তীর্ণ ময়দানে শিবির সন্নিবিষ্ট হইল। পর দিন প্রত্যুষেই শত্রুশিবির আক্রমণের পরামর্শ রহিল। কিন্তু রহিম রাত্ৰিযোগেই ভাগীরথী পার হইয়া বৰ্দ্ধমানের দিকে পলায়নপর হইলেন। সুবাদারী-সৈন্তও পর দিন তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিল। বৰ্দ্ধমান অঞ্চল হইতে বিদ্রোহিদলকে তাড়িত করিবার উদ্যোগ হইতে লাগিল। ইতিমধ্যে শাজাদা স্থলতান আজিমুশ্বান সসৈন্তে এলাহাবাদ ও অযোধ্যার পথে বিহারে উপনীত হইলেন। তাহার দুই পুত্র করিমুদ্দীন ও ফরোখশের তাহার সঙ্গে ছিলেন। বিহার প্রদেশের জমিদার ও আমিলগণ তাহার আদেশে সমবেত হইলেন। তাহদের সহিত বিদ্রোহদমনের ইতিকৰ্ত্তব্যতা স্থির হইতেছিল, এমন সময়ে জবরদস্ত খার বিজয়লাভের সংবাদ পৌছিল। সাহসিক সেনাপতি অতি শীঘ্রই এরূপ দেশব্যাপী বিদ্রোহ দমনে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন