পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ - অ’ । মীরজাফরের দ্বিতীয় সন্ধিপত্র। 8 > > প্রদান করিব । নগদ না হইলে ভূমির রাজস্বের উপর বরাত দেওয়া श्व । (১১) ওলন্দাজের সহিত আমার পূর্বসন্ধি পুনঃস্থাপিত হইবে। ( ১২ ) ফরাসীরা দেশে আসিলে তাহাদিগকে দুর্গনিৰ্ম্মাণ, ভূমিগ্রহণ বা সৈন্তরক্ষা করিতে দিব না। তাহার কর দিয়া পূৰ্ব্বমত বাণিজ্য চালাইবে । (১৩) ইংরেজ কৰ্ম্মচারী বা গোনস্তার সহিত বিবাদ উপস্থিত হইলে কি নিয়মে তাহার নিষ্পত্তি হইবে, উভয় পক্ষে ভবিষ্যতে তাহার নীমাংসা করিয়া লইব । ১৭৬৩ খৃষ্টাব্দের ১০ই জুলাই তারিখে, ফোর্ট-উইলিয়মে উভয়পক্ষের স্বাক্ষর ও শীলমোহর প্রদত্ত হইল । ভান্সিটার্ট, কার্ণক, বিলাস, কাটিয়ার, হেষ্টিংস, ম্যারিয়ট, হিউ, ওয়াটস। এই সঙ্গে নবাব মীরজাফর ইংরেজপক্ষের নিকট যে কয়েকটি দাবি করেন, তাহাও দ্রষ্টব্য । মীরজাফর ইহার মুখবন্ধে লিখিয়াছিলেন, ( ১ ) আমার অনুরোধ এই যে, আপনারা কোম্পানীকে এবং ইংলণ্ডাধিপের নিকট আমাদের এই মিলন ও সখ্যস্থাপনের কথা যথারীতি জানাইয়া তথা হইতে লিখিত উৎসাহবাণী আনাইয়া দিন, যেন আর কখনও আমার ও ইংরেজের মধ্যে সন্ধিভক্ষ না ঘটে, তাহ হইলে আমি নিশ্চিন্ত হই।” প্রবণের এই মৃদু তিরস্কার অল্প মূল্যবান নহে। এই অনুরোধপত্রের অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, আপনার কোন চক্ৰী লোকের কথা শুনিবেন না, আমি যাহা লিখিব, তাহাই বিশ্বাস করিবেন ; আমার ভূত্যবর্গ কোম্পানীর অধিকারে পলাইয়া আসিলে আশ্রয় দেওয়া না হয় ; এবং হুগলী ও কলিকাতার নিকটে আপনাদের কোন কৰ্ম্মচারী আমার অধিকারে প্রজা বা তালুকদারের উপর অত্যাচার না করে, এই কয়টি প্রধান কথা । ইংরেজ-সদস্যগণ এ গুলিও স্বীকার করিয়া ইহাতে স্বাক্ষর করিয়াছিলেন। যাহা হউক, মীরজাফর এক্ষণে যাহা কিছু আত্মগৌরব অবশিষ্ট ছিল তাহাও বিসর্জন দিয়া প্রকৃতই স্বদেশদ্রোহিতার কার্য্য করিলেন। সন্ধিপত্রে ইংরেজের দেশীয় বাণিজ্যে শুল্কপ্রদান রহিত করিয়া বাঙ্গালী বণিকের অন্তবাণিজ্য সমুলে বিনষ্ট করা হইল। মীরজাফর বা তাহার দীক্ষাগুরু নন্দকুমারের উদেষ্ঠ বাহাই থাকুক, প্রকাগু সন্ধিপত্রে দেশীয় প্রজার স্বন্ধে গুরুভার চাপাইয়া বিদেশী বণিক্‌কে মুক্তবন্ধন হইতে দিবার মহাপাপের প্রায়শ্চিত্ত নাই। ( ১ ) পরিশিষ্টে দ্রষ্টব্য।