পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to of উদ্যোগ-পৰ্ব্ব পৰ্ব্ব । 8 > ジ সাধারণ নাম নজফী ও তেলেঙ্গ হইল। প্রথম দল দেশীয় ও দ্বিতীয় দল ইউরোপীয় প্রথায় সজিত হইল। পদাতিক বিভাগেও বলিষ্ঠ ও কৰ্ম্মক্ষম লোক বাছিয়া বাছিয়া গৃহীত হইল। কথিত আছে, প্রত্যেক ক্ষুদ্রদলের মধ্যে সমধিক বলশালী ও উন্নত বপুৰান কতকগুলি লোক নিযুক্ত ছিল ; সৈন্যগণের মধ্যে কেহ পৃষ্ঠপ্রদর্শনের উদ্যম করিলে, তাহাকে তৎক্ষণাৎ নিহত করিবে, এই ইহাদের কার্য্য ছিল। (১ ) মুঙ্গেরের দুর্গমধ্যে সুনিপুণ দেশীয় ও বিদেশী য়ু কৰ্ম্মকার প্রভৃতির তত্ত্বাবধানে কামান, বন্দুক প্রভৃতি যুদ্ধোপকরণ প্রস্তুত হইতে লাগিল। এই সমস্ত আয়োজন যত দূর উৎকৃষ্ট হওয়া সম্ভব, সেদিকে মার্কাসেমের তীব্র দৃষ্টি ছিল। রাজকোষে প্রচুর অর্থ সংগৃহীত হইতেছিল ; সুতরাং দেশীয় ও বিদেশীয় নানাপ্রকারের যুদ্ধোপকরণ সংগ্রহে তাহাকে বিশেষ ক্লেশ পাইতে হয় নাই । ( ২ ) সেনাপতি ও কৰ্ম্মচারিগণের মধ্যে আৰ্ম্মানী, ইউরোপীয় এবং মুসলমানই অধিক ছিল। আৰ্ম্মানী গুর্গিন খা প্রধান সেনাপতি ও যুদ্ধবিভাগের মন্ত্রী ! তাহারই যত্নে ও কৰ্ম্মকুশলতায় নবাব-সৈন্তের ঈদৃশ উন্নতিসাধন হইয়াছিল। (৩) অন্তান্ত দলপতিগণের মধ্যে আন্মানী মর্কার ও জন্মান সমরুর নাম উল্লেখযোগ্য। এতদ্ভিন্ন কয়েক জন সুদক্ষ মুসলমান সেনাপতি ছিলেন। ( ১ ) মুতীক্ষরণ,—দ্বিতীয় খণ্ড । (২) পালামেণ্ট কমিটীর প্রথম ও দ্বিতীয় রিপোটে মীরকাসেমের সৈন্তগঠন ও আয়োজনের বিস্তুত বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে। যাহাদের কথার উপরে এই বিবরণীর ভিত্তি স্থাপিত হইয়াছে, তাহার নবাব মীরকাসেমের সৈন্যবল এবং অস্ত্র-বারুদের শ্রেষ্ঠত প্রতিপাদন জন্য রঞ্জিত বর্ণন প্রদান করিয়াছেন, সন্দেহ নাই। এইরূপ উৎকৃষ্ট প্রণালীতে শিক্ষিত এবং সুন্দর অন্ত্রশস্ত্রসমন্বিত বৃহৎ দৈন্যদলকে নানা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও পরাভূত করিতে সমর্থ হইয়াছেন, দেখাইলে ইংরেজদলের বীরকীৰ্ত্তি আরও পরিস্ফুট হয়, বলাই বাহুল্য। পক্ষান্তরে ভান্সিটার্ট মুঙ্গেরে নবাবের নুতন সৈন্ত পরিদর্শন করিয়া আসিয়া লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তাহার যুদ্ধোপকরণ ও সৈন্তবল বিশেষ কিছু নাই। যাহার যে দিকে প্রমাণের আবগুক, তিনি তাহার সুবিধার অবকাশ ত্যাগ করেন নাই । SS SSSSSS BBB BBBB BBBB BBBBBS BBBBS SBBBBB BBS BBBB প্রতিপক্ষ, আলি ইব্রাহিমের মতই তাহার মত। তিনি মীরকাদেমের অনেক অনাচার গুগিন থার মস্তকে অৰ্পণ করিয়াছেন। অন্যত্র, ঐতিহাসিক বলেন, ‘এক সময়ে ইংরেজের সহিত বিবাদে ধৈর্য্য অবলম্বন করিতে পরামর্শ দিয়া গুগিন খ বলিয়াছিলেন, যতক্ষণ আপনার সম্পূর্ণ রূপে পক্ষোদগম ন হইতেছে, ততক্ষণ ক্ষান্ত থাকুন। মুতাক্ষরী৭, ২-১৮৬ পূঃ।