পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3>8 বাঙ্গলার ইতিহাস । - 회 || তোপবিভাগে অনেক আৰ্ম্মানী ও কতকগুলি দলত্যাগী ইউরোপীয় নিয়োজিত ছিল । সৈন্যবল ও উপকরণ অধিক থাকিলেও মীরকাসেমের নূতন গঠিত ও সম্প্রতি শিক্ষিত সৈন্ত যে ইংরেজের প্রবীণ সেনাদল অপেক্ষ উৎকৃষ্ট হইয়াছিল, এ কথা স্বীকার করা যায় না। তবে নবাব-সেনাপতিগণ কৰ্ত্তব্যকাৰ্য্য করিলে, উপস্থিত ক্ষেত্রে অল্প সৈন্য লইয়া ইংরেজপক্ষের জয়লাভ দুরূহ হইত, সন্দেহ নাই। অবশু নীরজাফরের সেনাদল ইংরেজের সাহায্যকারী ছিল ; কৃতিত্বে না হউক, সংখ্যায় ইহারা অল্প ছিল না। পাটনার দিকে সৈন্ত-প্রেরণের সঙ্গে সঙ্গেই মীরকাসেম, মহম্মদ তকী খার প্রতি আদেশ প্রেরণ করেন, তিনি সদলে মুশিদাবাদের দিকে অগ্রসর হইবেন। ইতিপূৰ্বেই জাফর খা, আলম খাঁ ও হায়বৎ উল্লার অধীন সেনাদল মুর্শিদাবাদের ফৌজদার সইদ মহম্মদের সহিত যোগদানের আদেশ পাইয়। বাঙ্গলার দিকে প্রেরিত হইয়াছিলেন। ই হার একযোগে কাশিমবাজারের ইংরেজ কুঠী অবরোধ করিলেন। কুঠারক্ষক সৈন্যদল প্রথম আক্রমণেই আত্মসমর্পণ করিল। হতাবশিষ্টগণ বন্দীবেশে মুঙ্গেরে প্রেরিত হইল । তকী খ মুর্শিদাবাদে উপনীত হইলে সকলে মিলিয়া একযোগে ইংরেজপক্ষকে বাধা প্রদান করবেন, নবাবের এই আদেশ ছিল । কিরূপে এই আদেশ কার্য্যে পরিণত হয়, পরবর্তী অধ্যায়ে তাহা দৃষ্ট হইবে ।