পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৪৮

8ミミ বাঙ্গলার ইতিহাস । 회: || অতঃপর মীরকাসেমৃ সদলে যাত্রা করিয়া ভাগলপুর চম্পানগর পর্য্যন্ত আগমন করিলেন। এখান হইতে উধুয়ানালা রক্ষার জন্ত এক এক দল করিয়া সেনাপ্রেরণ চলিতে লাগিল। মন্ত্রী আলি ইব্রাহিমের পরামর্শে মীরকাসেম্ ইতিপূৰ্ব্বেই পরাক্রান্ত জমিদার কামগার খার সহিত সন্ধিবন্ধন করিয়া তাহাকে সদলে আনয়ন করিয়াছিলেন। উধুয়ায় একজন সৰ্ব্বাধ্যক্ষ সেনাপতি স্থাপনের কথায় গুর্গিন খার নাম হইল ; তিনি বলিলেন, আমরণ প্রভূর নিকটে থাকিয় তাহাকে রক্ষা করাই আমার কার্য্য। (১) কামগার খাঁ স্বদলের উন্মুস্নায় স্থানাভাব বলিয়া আপত্তি করিলেন। তখন কর্তৃত্ব পূৰ্ব্বমত বিভক্ত থাকিলেও সকল সেনাপতি এক পরামর্শে কার্য্য করবেন, এই প্রাচীন উপদেশই মীর কাসেমের দুর্ভাগ্যের ভার মস্তকে লইয়া উধুয়া-শিবিরে দর্শন দিল । রাজমহলের অনতিদূরে ক্ষুদ্র পর্বতমালার পূৰ্ব্বোত্তর ভাগে পশ্চিমযাত্রীর রাজপথের নিকটে উধুয়ার এই অনতিবৃহৎ গিরিসঙ্কট অবস্থিত। দক্ষিণের পৰ্ব্বতনিঃস্থত উধুয়ানামী ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী হইতে এই স্থানের নাম উধুয়ানাল হইয়ছে। একমাত্র সঙ্কীর্ণ এই রাজপথের উভয় পাশ্বে নাতিগভীর বিল, আরও দক্ষিণপাশ্বে ভাগীরথী। একটি গণ্ডশৈল তীরদেশের সমীপভাগ পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছে। এই স্বভাবজ দৃঢ় স্থানে পূৰ্ব্বাবধি একটি ক্ষুদ্র গড়খাত ও সেনাসংস্থান নির্দিষ্ট ছিল। মীরকাসেম ভবিষ্যতের জন্ত সতর্ক হইবার সময়ে এখানে এক দৃঢ়তর দুর্গপ্রাকার রচনা করিয়াছিলেন। সম্মুখে বিপুল মৃংপ্রাচীর ৬০ ফিট প্রশস্ত ও দশ ফিট উন্নত, তদুপরি অন্য এক প্রাকার। সুবিস্তুত গড়খাত ইহার পাশ্বদেশ হইতে সমতলপ্রদেশ দিয়া ভাগীরথী তীরসংলগ্ন হইয়াছিল। অন্ত পাশ্বে ও পশ্চাতে উধুয়ানালা। দুর্গের পশ্চাদ্ভাগে ও নদীর উপরে এক প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত সেতু, এবং দুর্গভিত্তির চতুর্দিকে ও গণ্ডশৈলের উপরিভাগে সারি সারি কামানশ্রেণী সজ্জিত ছিল। স্বতীর পরিখা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেও, উবুয়ার দুর্ভেদ্য সঙ্কটস্থলে স্বীয় শিক্ষিত সৈন্যদলের পরাজয়ের কোনই আশঙ্কা রহিবে না, মীরকাসেম ইহা স্থিরনিশ্চয় করিয়া রাখিয়ছিলেন। ইতিপূর্বেই অন্ততম আৰ্ম্মানী-সেনাপতি আরাটুনের সুশিক্ষিত সেনাদল ও মীর নজফ এবং হিন্মং আলী প্রভৃতির অশ্বারোহী ও পদাতিসৈন্ত উধুয়ায় প্রেরিত হইয়াছিল। চম্পানগর হইতে ক্রমে ক্রমে আরও অনেক সৈন্ত প্রেরিত হইল ; গিরিয়ার হতাবশিষ্ট ও পলাতকগণের অধিকাংশ (১) মুহাক্ষরীণ ২য় থঃ ।