পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8.98 বাঙ্গলার ইতিহাস । 여 학: | অভাব ( ১ ) সত্ত্বেও, তাহারা যাত্রা করিয়াছে শুনিয়াই বিপক্ষ পশ্চাৎপদ ছইতেছে এই সংবাদে সাহস ও উৎসাহ বৰ্দ্ধিত হইল। ৯ই এপ্রেল বক্সারে উপনীত হইয়া কাৰ্ণাকের গতি-বিধি লক্ষ্য করিয়া সুজা সঙ্কল্প করিলেন, বিপক্ষের পাটনা প্রবেশের পথরোধ করিতে হইবে। এই উদ্দেষ্ঠে প্রেরিত অগ্রগামী অত্যন্ত্র অশ্বারোহীদলের সহিত সামান্ত সংঘর্ষণের পরে বঙ্গীয়-সৈন্ত পাটনা প্রবেশ করিয়াছিল। অগ্রসর হইয়া পাটনার অবস্থান ও বিপক্ষের সেনাসমাবেশ পর্য্যবেক্ষণ করিতে সুজার এক সপ্তাহ অতীত হইল। ইংরেজ ও নবাবী-সৈন্ত অৰ্দ্ধচন্দ্রাকারে পাটনা বেষ্টন করিয়া স্থাপিত ছিল। সুজাও স্বযুক্তি মত সেনাসমাবেশ করিলেন। তাহার বিপুল বাহিনীর দক্ষিণ-পাশ্বে পাটনা-দুর্গের পূর্ব দক্ষিণে মীরজাফরের সেনার সম্মুখে শা আলম রহিলেন। মধ্যস্থলে সমর প্রভৃতির শিক্ষিত সেনাদল পুরোভাগে লইয়া সদলে মীরকাসেম ইংরেজদলের বাম ভাগ ও মীরজাফরের দক্ষিণ-পাশ্বের অগ্রভাগে স্থাপিত হইলেন। স্বয়ং সুজাউদৌল মন্ত্রী বেণী বাহাদুর সহ কাশীরাজের সেনাদলকে বামভাগে লইয়া নগরের পশ্চিমে ইংরেজের দক্ষিণ-ভাগের সম্মুখীন হইলেন। ২রা মে বাঙ্গল হইতে আর এক দল ইংরেজ-সৈন্য যোগদানে অগ্রসর হইতেছে সংবাদ পাইয়া, সুজাউদৌল পর দিন আক্রমণের আদেশ দিলেন। ইংরেজদলকে পযুদস্ত করাই সঙ্কল্প, সুতরাং দক্ষিণ-পাশ্বে সামান্ত যুদ্ধোন্তমে মীরজাফরকে ব্যাপৃত রাখিয়া ইংরেজ সৈন্তের উপর আক্রমণই অভিপ্রেত ছিল। সকলেই একযোগে কার্য্যারম্ভ করিল। সম্মুখে কোন আশ্রয় না থাকায় সমরু প্রথম উদ্যমের পরেই ইংরেজ ও মীরজাফরের সম্মুখবন্তী কামানশ্রেণীর অগ্ন্যুৎপাতে পশ্চাদ্বন্তী হইয়া একটি খালের মধ্যে সৈন্তসমাবেশ করলেন। অশ্বরোহীদলও দুই তিন বার অগ্রসর হইয়াই প্রতিনিবৃত্ত হইল। সুজ এক্ষণে স্বীয় প্রধান কল্পনা কার্য্যে পরিণত করিবার উদ্দেশ্ৰে সবেগে আক্রমণ করিলেন, কিন্তু ইংরেজের আগ্নেয়াস্ত্রের সমক্ষে এই চেষ্টা ফলবতী হইল না। পবনদেবও তাহার প্রতিকুল হইয়া পশ্চিমাঞ্চলের নিদাঘ মধ্যাহ্ন-সঞ্চারিত ধূলিরাশিতে তাহার সেনাদলকে প্রতিহত করিতেছিলেন। (২) তখন উজীর মীরকাসেম্কে স্বয়ং বা সমরুর কামান সহ ত্বরায় এই ভাগে সাহায্য করিবার অনুরোধ করিলেন। মন্ত্রণায় মতিমান মীরকাসেম যুদ্ধক্ষেত্রে হতবুদ্ধি হইলেন। বারম্বার অনুরোধ আসিলেও SS S BBBBBS B BBBBBBBB BBB BBB BBB BBBB BBBS (২) মুতাক্ষরণ, দ্বিতীয় খণ্ড।