পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88& বাঙ্গলার ইতিহাস । 》에 회: || এই উদ্দেশ্বে স্বীয় অসাধারণ প্রতিভার যথেষ্ট প্রমাণ প্রদান করিতেছিলেন। সুতীর যুদ্ধের অব্যবহিত পরেই বাগ্মাসিক কিস্তীর রাজস্ব সংগ্রহ আরম্ভ হয়। নদীয়া, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং ঢাকা প্রদেশই তখন নবাবের একমাত্র সম্বল ; অনিশ্চিত জয় পরাজয়ে কোন স্থান হইতেই রীতিমত রাজকর আদায়ের আশা ছিল না। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও দিনাজপুরের রাজা বৈদ্যনাথ ইতিপূৰ্ব্বেই মীরকাসেমের আদেশে দুই বৎসর কাল ধরিয়া বন্দীভূত ছিলেন। সরকারী ক্রোক্ সাজোয়াল দ্বারা তাহদের জমিদারীর রাজকর আদত্ত হইতেছিল। বিপ্লবের অবস্থায় দেওয়ানী কারাগারের অন্তান্ত বন্দীর সহিত কৃষ্ণচন্দ্র পলায়ন করিয়া নিস্কৃতিলাভ করিলেও বর্তমানে রাজকর আদায়ের সুবিধার নিমিত্ত নন্দকুমারের চক্রে মুর্শিদাবাদের ফৌজদার কিয়ংকালের জন্ত তাহাকে রাজধানীতে প্রহরিবেষ্টিত করিয়া রাখেন। ভাসিটার্টের বিশেষ অনুরোধে ফৌজদার ইরেজ খাঁ শেষে তাঁহাকে মুক্ত করিয়া দেন। ( ) নানা উপায়ে রাজস্ব ংগ্ৰহ করিয়াও নন্দকুমার সব দিক রক্ষা করিতে পারেন নাই ; ১৭৬৪ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে নবশস্ত সংগৃহীত হওয়া পৰ্য্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে রীতিমত খাদ্য সরবরাহও হইয়া উঠে নাই। যাহা হউক, বাঙ্গলার সমরোচিত ব্যবস্থা শেষ করিয়া মন্ত্রিবর পাটনায় নবাব-শিবিরে মিলিত হইয়। তাৎকালিক অবস্থায় বিহারের সুব্যবস্থা করিবার উপায় উদ্ভাবন করিতে লাগিলেন । ইতিপূৰ্ব্বে বাদশাহ দরবারে মীর জাফরের জন্ত সনন্দ প্রাপ্তির উদ্যম বর্ণিত হইয়াছে। ভূতপূৰ্ব্ব যুদ্ধৰ্যাপারে দেশীয় শক্তিকে শা আলমের পক্ষে নিয়োগ করিবার উদ্যম করিয়া তিনি যথেষ্ট পরিচিত হইয়াছিলেন। সুতরাং মীর জাফরের সনন্দ আসিবার পূৰ্ব্বেই নন্দকুমারকে প্রধান কার্য্যের ভার দিবার অযুরোধ করিয়া দিল্লী-দববার হইতে পত্র আইসে ( ২ )। ইংরেজপক্ষের মনে ইহাতে স্বতঃই ঈর্ষ্যার সঞ্চার হইয়াছিল। এক্ষণে সুজাউদ্দৌলা প্রতিহত হইলেও সদলে বক্সারে অবস্থান করিতেছিলেন। এই সময়ে বাদশাহী সনদের মোহময় প্রভাবে মীর জাফরের পক্ষ প্রবল হইবে, বিহারের রাজকরও যথাসম্ভব আদত্ত হইতে পরিবে, এই আশা ও উদ্দেশু প্রবীণ মন্ত্রী মহারাজ নন্দকুমার পাটনায় পৌঁছিয়াই বাদশাহ-শিবিরে পত্রাদিচালনা আরম্ভ করিয়া ( 3 ) Long's Records— Letter to Irej Khan, 11th May 1764. azaz: BB BBB BBS BB BBBB BB BBBBB BBBBB BBBB BB tttttttS ( & ) Vansitart's Narrative Vol 3, P 418 and note.