পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার ইতিহাস । ১৮শ, অঃ। : ناير 8 তিন স্থানেই প্রতিনিধি সুবাদার নিয়োগ করিবার নিয়ম ছিল। কাৰ্য্যতঃ পাটনা ও উড়িষ্যাতেই শাসনকৰ্ত্তার প্রয়োজন হইত। ঢাকার নায়েবী পদ নবাবের স্বসম্পৰ্কীয় কাহারও নামে লিখিত থাকিত মাত্র ; একালে তিনি কদাচিৎ তথায় পদার্পণ করিতেন। তাহার দেওয়ানই তাহার নামে রাজকাৰ্য্য নিৰ্বাহ করিয়া জায়গীরের উপস্বত্ব নিকটে পৌছাইয়া দিতেন। প্রাদেশিক নায়েবনাজিমগণের দেওয়ানের হস্তে রাজস্ব-বিভাগ ব্যতীত অ্যান্ত বিভাগের কার্য্য ও হস্ত ছিল। মুর্শিদকুলী খাঁর রাজাকাল হইতে ফৌজদারগণ নায়েব-নাজিমের অধীনে স্থাপিত হন। প্রাদেশিক নায়েব-নাজিমগণের পরিবারিক বায়নিৰ্ব্বাহের জন্য জায়গীর ছিল । নবাবী আমলের শেষ অবস্থায় নবাব পরিবারের সহিত সম্পূর্ণ অসংস্থঃ হিন্দু ও মুসলমান ওমরাহগণ কিয়ংকাল নায়েব-নাজিমী পদ ভোগ করিয়াছেন, গ্রন্থভাগে দৃষ্ট হইয়াছে। প্রাদেশিক শাসনকর্তৃগণের অধীনেও সদর সেরেস্তার অনুরূপ কাৰ্য্যবিভাগ ও কর্মচারী থাকিত । (৩) ফৌজদারী ও ফৌজদার। নবাবী আমলে সমগ্র বঙ্গ দেশ নিম্নলিখিত দশটী ফৌজদারীতে বিভক্ত ছিল –ইস্লামাবাদ (চট্টগ্রাম ), শ্রীহট্ট, রঙ্গপুর, রাঙ্গামাটা, জেলালগড় ( পূর্ণিয়া ), আকবর নগর (রাজমহল ), রাজশাহী, বৰ্দ্ধমান, মেদিনীপুর ও বক্সবন্দর (হুগলী) । ইহা ব্যতীত মুর্শিদাবাদ সহরে একজন ফৌজদার ছিলেন ও সুজা খার সময়ে ত্রিপুরা আংশিক রূপে আয়ত্ত হইলে তথায় একজন ফৌজদার কিয়ংকাল অস্থায়ীরূপে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। বিহার প্রদেশ আটট ফৌজদারীতে বিভক্ত ছিল ; যথা শাহাবাদ, রোটাস, মুঙ্গের, চম্পারণ, বেহার, শারণ, ত্রিহুত ও হাজিপুর। মোগল অধিকারে প্রত্যেক সুবায় প্রত্যন্তভাগ রক্ষা, বিদ্রোহী বা অনায়ত্ত জমিদারবর্গের শাসন ও অন্তর্জাতিক শাসনের প্রতি লক্ষ্য রাখিবার জন্য এই সকল ফৌজদার নিয়োজিত হইতেন । মোগল সম্রাটগণের উন্নতির অবস্থায় এই সমস্ত ফৌজদার বাদশাহ দরবার হইতেই নিয়াজিত হইতেন। দিল্লীশ্বরের প্রতাপের অন্তৰ্ধানের সঙ্গে সঙ্গেই বাঙ্গলার নবাবগণ অদ্যান্ত কাৰ্য্যের মত ফৌজদার নিয়োগের ভার স্বহস্তেই গ্রহণ করেন। মুর্শিদকুলী খাই প্রথমে এইরূপ স্বীয় মনোনীত ব্যক্তিগণকে নিয়োগ করিতে আরম্ভ করেন । বাদশাহ দরবারে দিল্লীর নিয়োজিত ফৌজদারগণের যথেষ্ট সন্মান ছিল ; অনেক সময়ে তাহারা হুবাদার অপেক্ষ অল্প সমাদর পাইতেন না। কাৰ্য্যদক্ষ -