পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮শ, অ’ । আইন আদালৎ । 8° ○ রাজারাম প্রভূতিই প্রধান কৰ্ম্মচারী। দেওয়ান মাণিক চাদ, উমেদ রাম প্রভৃতি সকলেই প্রধান কার্যে ব্ৰতী ছিলেন। হিন্দু কৰ্ম্মচারী কেবল রাজকর আদায়েই ব্যাপৃত ছিলেন না, প্রধান সেনাপতি হইয়া সৈন্যচালনায় কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন ; ছল ভরাম, মাণিকচাদ–শেষে মোহনলাল ও শ্যাম সুন্দর লাল ও বাঙ্গালী কায়স্থের এযুগের রণনৈপুণ প্রদর্শন করিয়াছেন । নিয়তন পদে বাঙ্গালী হিন্দুর নিয়োগের উল্লেখ বাহুল মাত্র। বলী, মুসী, মুস্তোফা, শিকদার, মজুমদার, সরকার প্রভৃতি উপাধির প্রচলন হিন্দুগণের মধ্যেই অধিকতর। মুস্তোফী ও খাসনবীসের পদ উচ্চশ্রেণীর, ইহা পূর্বেই নির্দেশ করা হইয়াছে। তবেই দেখা গেল, জাতি ধৰ্ম্ম নির্বিশেষে উচ্চতর রাজকাৰ্য্যে নিয়োগে মুর্শিদাবাদের মুসলমান নবাবগণ সভ্য জগতের আদর্শস্থানীয়। মুর্শিদ কুলী খাঁ পূৰ্ব্বতন নবাবী বিচার প্রণালীর আমূল সংশোধন করিয়া মুর্শিদাবাদে চারিটী বিচার বিভাগ ও তং সংস্থষ্ট বিচারালয় স্থাপন করেন :– (১) আদালং উল আলিয়া-ই-নিজামং । (২) মহকুমে আদালতে দেওয়ানী। (৩) মহকুমে কাজ (কাজির আদালং) (৪) আদালং ফৌজদারি । (১ম) নিজামং আদালতে স্বয়ং নাজিম, কাজি, মুফতী ও উলামাগণ সহ উপবেশন করিতেন। এখানে ওয়াকে-নবীদ (রাজকীয় সংবাদদাতা) ও হরকরা প্রভৃতি উপস্থিত থাকিত। অভিযোগ শ্রবণ ও তর্কবিতর্কের পর নাজিম স্বয়ং আদেশাদি প্রদান করিতেন। রাজকীয় অষ্টান্ত কাৰ্য্যে সৰ্ব্বদা ব্যাপৃত থাকায়, যথাসময়ে এই বিচারালয়ের কার্য স্বয়ং নিৰ্ব্বাহ করা কঠিন দেখিয়া এবং বৃদ্ধ দশায় পূর্বের মত পরিশ্রম ও সম্ভবপর নহে বিবেচনা করিয়া, নবাব মুর্শিদকুলী শেষে ‘দারোগা আদালং উল নিজামং নামে একজন প্রধান কৰ্ম্মচারীকে ধৰ্ম্মাধিকার স্বরূপে নিয়োগ করিয়াছিলেন। দারোগ অর্থা প্রতার্থীর ও তাহদের পক্ষের সাক্ষিগণের সমস্ত বক্তব্য শ্রবণ করিয়া সওয়াল্ জবাব আনুপূৰ্ব্বিক অবগত হইয়া বিচার বিতরণ করিতেন। ইনি নবাবের প্রতিনিধি স্বরূপে মোকদয়ার ফয়সল রোয়দাদ জোহাং প্রভৃতি প্রস্তুত করিয়া, কোন পক্ষের হায্য দাবী কি, তাহ স্থির হইলে নাজিম-সমক্ষে এক রিপোর্ট পেশ করিতেন। কুলী খাঁ সপ্তাহে দুই দিন এই আদালতের কার্য্য পরিদর্শন করিয়া স্বয়ং আদেশ দিতেন ; পরবর্তীকালে কাৰ্য্যভার ক্রমশঃ দারোগার হস্তেই অর্পিত ●●