পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8守b- বাঙ্গলার ইতিহাস । ১ চ শ, আঃ । করিতেন ; কচিং নাজিমের নিকট আদেশ জন্ত প্রেরিত হইত। দস্তকগুলিতে কাজীর মোহর থাকিত। স্বয়ং কাজী বা তাহার বিচারালয়ের জনৈক উলাম ( বিদ্বান ) মুসলমান ব্যবহারশান্ত্রমতে বিচার কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেন। মফঃস্বলের কোন মোকৰ্দমা সহরের কাজীর আদালতে উপস্থিত হইলে তাহার সুবিচারের জন্ত তত্তং স্থানের ফৌজদার বা কাজীর মতামত অবগত হওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কাজীর আদালতের একটা প্রাচীন ফয়সলার নমুনা দৃষ্টে অনুমিত হয় যে, বৰ্ত্তমান ফয়সল ইহারই আদর্শে রচিত। ইহাতে সংক্ষেপে উভয় পক্ষের বাদ প্রতিবাদ উল্লেখ করিয়া আদেশ মাত্র দেওয়া আছে ; বাহুল ভয়ে ঐ ফয়সল এখানে দেওয়া গেল না। থানাদারের নগরের ফৌজদারের নিকট দৈনন্দিন ঘটনার বিবরণী পাঠাইতেন। ফৌজদার গুরুতর বিষয়ে নাজিমের আদেশ গ্রহণ করিতেন। পল্লীর সমস্ত বিবাদ বিসম্বাদ এইরূপে থানাদার ও ফৌজদারের মীমাংসার উপর নির্ভর করত। ফৌজদারের আদালতে কানুনগো ও মোহরের থাকিতেন। নরহত্যার মোকৰ্দমা উপস্থিত হইলে কাজী, মুফতী প্রভৃতির পরামর্শ গ্রহণ করিয়া নাজিমের নিকট বৃত্তান্ত ও আইনঘটিত সমস্ত বিষয় বিজ্ঞাপিত করা হইত। কোন সময়ে এইরূপ মোকৰ্দমা কাজীর নিকটও সোপর্দ হইত। নাজিমের আম দরবারে সরার মতানুসারে প্রাণদণ্ডের বিচার হইলে সহরের ফৌজদার ঐ আদেশ কাৰ্য্যে পরিণত করাইতেন। এই আদালতের দস্তক জারির প্রণালী অন্যান্ত,আদালতের মতই ছিল। সদর ফৌজদার স্বয়ং কোন মোকৰ্দমার নিম্পত্তি করিতে পারিতেন না ; প্রাথমিক তদন্ত ও অনুসন্ধানই প্রধানতঃ তাহার কার্য্য ছিল। মুর্শিদাবাদ ফৌজদারীর অন্তর্গত স্থানেই সহরের ফৌজদার শাসনদণ্ড চালনা করিতেন এমন নছে ; দূরস্থ স্থানের পুলিস্ সম্বন্ধীয় কর্তৃত্ব ও অনুসন্ধানও শহরের ফৌজদারের ভার ছিল । মফঃস্বলের ( প্রাদেশিক ) ফৌজদারগণের কার্য্য ও অধিকার পূর্বেই বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা গিয়াছে। ইউরোপীয় বণিকৃগণের মোকৰ্দমা প্রায়শঃ সদরে পৌছিত না ; কোন অভিযোগ নিজামং আদালতে উপস্থিত হইলে তাহদের উকীল তাহা পরিদর্শন করিতেন। মীমাংসা করিয়া দিতে পারিলে বাদীর পক্ষ হইতে এবরানামা দাখিল হইত। কোনও সময়ে নাজিম বা নায়েব-নাজিমের নিকট হইতে হুগলীর ফেজদার বা কলিকাতার কোন প্রধান কৰ্ম্মচারীর নামে পরোয়ান প্রেরিত হইত,