পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 백 জমিদারী বন্দোবস্ত । 8b-Gr বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বড় রাজার অনুকরণে দরবার জুর্গ ও সেনাদলের প্রতিষ্ঠা করিয়া লোক দৃষ্টিতে রাজা হইয়া পড়িয়াছেন । শান্তিরক্ষা ও বিচারভার জমিদারের হস্তেই ন্যস্ত থাকায় তাহদের এই সুবিধা ঘটিয়াছিল। আকবর বাদশাহের সময় হইতে পূৰ্ব্বতন মুসলমান জায়গীরদারের উচ্ছেদ হইবার পরে হিন্দু জমিদারবর্গের সুবিধা আরও বঙ্কিত হয়। কিন্তু মোগল-শাসনে পূৰ্ব্বতন পাঠান আমলের চর্বিলতা ছিল না। বাদশাহী স্থবাদারের প্রবল প্রতাপে জমিদারবর্গ অধিকতর আয়ত্ত হইয়া পড়িলেন। আভ্যন্তরীণ শান্তিরক্ষা, বিচার বিতরণ প্রভৃতি স্বায়ত্ত শাসনের ভার পূর্বমত তাহদের হস্তে থাকিলেও তাহার এবং প্রজাবৰ্গ বিলক্ষণ বঝিলেন যে এ বড় বিষম ঠাই’— এখানে পূর্বকালের মত লীলাখেলা চলবে না। জমিদারকে যথাসময়ে রাজস্ব প্রদান করিতে হইবে ; এই রাজস্ব বর্জিত হইতেও পারে। উত্তরাধিকারক্রমে জমিদারী থাকিতে পারে, কিন্তু নুতন সনন্দ লইতে হইবে ; সুবাদার প্রসন্ন না থাকিলে, জমিদারী অন্তের হস্তে যাইবে। রাজস্বদানে ক্রমাগত ক্রটি দেখাইলে, সরকারী অামিল বা ইজারাদার আসিয়া জমিদারীর খাজান আদায় করিবে ; সুবাদার দয়া করিয়া এরূপ স্থলে জমিদারের পরিবারবর্গের ভরণপোষণের জন্য যদি না কর মঞ্জুর করেন, তাহাই যথেষ্ট অনুগ্রহ বলিয়া মনে করিতে হইবে। মোগল অধিকারের শেষ দিকে বাঙ্গলার জমিদারবর্গকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়া লওয়া যাইতে পারে ;– ( ১ ) প্রাচীনকালের স্বাধীন বা করদ হিন্দুরাজগণ –ইহারা মুসলমানশাসনের চূড়ান্ত বৃদ্ধির দশায় কোথাও স্বতন্ত্র এবং স্বাধীনভাবে কোথাও বা আংশিক অধীনতা স্বীকার করিয়া রাজত্ব করিয়া আসিতেছিলেন। সীমান্ত, ভাগেই ই হাদিগকে দেখা যায়। ইহাদের মধ্যে কেহ কেহ নিজ রাজ্যের কিয়দংশ মুসলমান-রাজের অধিকৃত ইহা স্বীকার করিয়া তাহার জন্য সামান্য কর দিতেন ; –যেমন ত্রিপুরা, পঞ্চকোট। আবার কেহ কেহ নজর পেঙ্কস DD DD BBBB BBBB BBBB BB S BBBB BBB BBBB BBB আদায় হইত না । নামে মাত্র অধীন হইলে ৪ ই হার স্বরাষ্ট্রে স্বাধীন রাজার মত ব্যবহার করিতেন। (২) হিন্দু বা মুসলমান সামন্তগণ –দেশের প্রান্তভাগে বা রাজধানী হইতে দূরদেশেই ইহাদের আবির্ভাব। প্রতাপশালী সুবাদারের শাসনে ইহার