পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bు বাঙ্গলার ইতিহাস । 비 : || রীতিমত রাজস্ব প্রদানে বাধ্য হইতেন ; কিন্তু বিধা পাইলে সরকারকে অঙ্গুষ্ট প্রদর্শনের অবসর ত্যাগ করতেন না। আভ্যন্তরীণ শাসন ৪ বিচার ইহাদেরই হস্তে ছিল । - (৩) পূৰ্ব্বতন রাজস্ব আদায়কারী কৰ্ম্মচারী, তালুকদার এবং অন্ত অর্থশালী ব্যক্তিগণ, যাহারা অষ্ঠের জমিদারী বন্দোবস্ত করিয়া লইতেন—তাহাদের সকলকে এই শ্রেণীর অন্তর্গত বলা যাইতে পারে। ইহারা ও ক্রমে ক্রমে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্ষমতা লাভ করিবার জন্ত চেষ্টা করিতেন । নিম্নে প্রদত্ত মুর্শিদ কুলী খার জমিদারী বন্দোবস্তের বিশেষ বিবরণে উল্লিখিত কথাগুলি পরিস্ফুট হইবে , পূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে, মুর্শিদ কুলীৰ্থ ১৭২২ খৃঃ অব্দে ( ১১২৮ বাং, ১১৩৫ হিঃ ) সমগ্র বঙ্গদেশকে ১৩টি চাকলায় বিভক্ত করিয়া সেইগুলিকে ২৫টি জমিদারী ও ১৩ জায়গীরে বন্দোবস্ত করেন। তাহার এই বন্দোবস্তের কাগজের প্রসিদ্ধ নাম জমা কামেল তুমারী । নবাব সুজাখার সময়ে কুলীখণর নির্দিষ্ট রাজস্বের মধ্যে ৪২,৬২৫ টাকা মাত্র নাজাই বাদ যায় ; তংপরে সুজা খর্ণ স্বয়ং ১৯ লক্ষ টাকারও অধিক নূতন আবওয়াব স্থাপন করিয়া উক্ত বন্দোবস্ত পাকা করেন, পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। এই জমিদারী বন্দোবস্ত পরবর্তী বন্দোবস্ত গুলির, এমন কি দশ সাল বন্দোবস্তেরও ভিত্তি স্বরূপ , এই কারণে বাঙ্গলার ইতিহাসে ইহা বিশেষরূপে আলোচ্য। ইহাতে দৃষ্ট হইবে যে, বাঙ্গল দেশের জমিদারেরা অনেক স্থলেই উ হুরাধিকার ক্রমে জমিদারী ভোগ করিয়া আসিতেছিলেন। অবশু মুসলমান রাজা জমিদারী দানের ক্ষমতা স্বহস্তে রাখিয়া নুতন সনন্দ দিতেন। প্রাচীন রাজ ও জমিদার বংশগুলির বিশেষ বিবরণ দ্বিতীয় গ্রন্থে ‘সামাজিক ইতিহাসে প্রদত্ত হইবে ; নিয়ে সংক্ষেপে জমিদারী বন্দোবস্ত বর্ণিত হইল। ত্রিপুরার হিন্দু নরপতিগণ প্রাচীন কাল হইতে স্বাধীনতা উপভোগ করিয়া আসিতেছিলেন। পাঠান রাজগণ ত্রিপুরা-রাজ্যের মধ্যে দন্ত ফুট করিতে পারেন নাই। আরাকান-রাজের সহিত যুদ্ধ কার্য্যে হীনবল হওয়ায় পরে তাহার মোগল সম্রাটের নিকট কিয়ং পরিমাণে বগুত স্বীকার করিতে বাধ্য হন। শাজাহানের সুবাদারী আমলে ত্রিপুরারাজ্যের নিম্ন ভূমির কিয়দংশ মোগলের অধীন হইয়া ৪ পরগণায় সরকার উদয়পুর নামে অভিহিত হইয়াছিল। মুর্শিদ কুলীখণর সময়ে ত্রিপুরা-রাজ রামমাণিক্য বস্ততা স্বীকার ১ম ত্রিপুরা