পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8s o বঙ্গলার ইতিহাস । ১৯শ, অ, ৭৩ পরগণায় ৫,৯৪,৮৪৬ টাকা রাজস্ব নিদ্ধারিত হয়। মীর কাসেমের বন্দোবস্তে রাজস্ব প্রায় দ্বিগুণ হইয়া ১০,৯৮,৩৭৯ টাকা হইয়াছিল। রাজশাহী বা নাটোর জমিদারীর উৎপত্তির কথা পূর্বেই উল্লিখিত রাজশাহী হইয়াছে। ১৭২৫ খৃষ্টাব্দে মুর্শিদকুলী খাঁ রাজা রামজীবনের "" নামে এই জমিদারীর নূতন বন্দোবস্ত করেন। ইহাতে ১৩৯ পরগণায় জায়গীর বাদে ১৬,৯৬,০৮৭ টাকা জমা নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছিল। এই সময়ে মুর্শিদাবাদ, ভূষণ ও ঘোড়াঘাট এই তিন চাকলা বাপিয়৷ রাজশাহী জমিদারী বিস্তৃত ছিল। নিজ রাজশাহী মুর্শিদাবাদ জেলার উত্ত রাংশে তাহ পূর্বেই বলা হইয়াছে,—এইটিই প্রধান বলিয়া সমগ্র নাটোর জমিদারীর নাম রাজশাহী হয়। রাণী ভবানীর সময়ে আরও কতকগুলি ক্ষুদ্র বৃহৎ পরগণা ইহার অন্তভুক্ত হওয়ায় ‘রাজশাহী প্রকৃতপক্ষে একটি রাজ্যের মত হইয়া উঠে। তখন রাজমহল হইতে বগুড়া পৰ্য্যন্ত ইহার বিস্তৃতি ছিল। বর্তমান বীরভূমির পূর্বাংশ, মুর্শিদাবাদের উত্তর পূর্বভাগ, জেলা রাজশাহী বগুড়া পাবনার অধিকাংশ, মালদহের পূর্বভাগ এবং যশোহরের ও নদীয়ার উত্তরপূৰ্ব্বাংশ ইহার অন্তর্গত ছিল। বাণিজ্য ও শস্ত সম্পদে তখন রাজশাহী জমিদারীই বঙ্গে সৰ্ব্বপ্রধান। রাজধানী সহর মুর্শিদাবাদ, চুনাখালী, কাশিমবাজার, ভগবানগোলা, গোদাগাড়ী, বোয়ালিয়া, কুমারখালী প্রভৃতি প্রসিদ্ধ বাণিজ্যস্থান এই রাজশাহীর মধ্যেই ছিল। মীরকাসেমের বন্দোবস্তে ইহার রাজস্ব দি গুণের উপর বৰ্দ্ধিত হইয়া ৩৫,৫৩,৪৮৫ টাকায় উঠিয়াছিল। তখন জমিদারীর আয়তন ভিতরবন্দ বাহিরবন্দ প্রভৃতি যোগে কিছু বাড়িয়াছিল বটে, কিন্তু রাজস্ব সে অনুপাতে বৰ্দ্ধিত হয় নাই । পাঠান রাজত্বকালে বীরভূমিতেও অৰ্দ্ধস্বাধীন এক হিন্দু রাজবংশ ছিলেন। নগর তাহদের রাজধানী ছিল । মোগল পাঠান বিপ্লবের সমকালে এই হিন্দু রাজাদিগের কৰ্ম্মচারী আসদউল্লা এবং জোনা খা নামক ভ্রাতৃদ্বয় প্রবল হইয়া বীরভূমি হস্তগত করেন। মোগল অধিকারের প্রথম অবস্থায় জোনাদের পুত্র রাজা রণমস্ত খণ সীমান্ত রক্ষার ভার পাইয়া বীরভূমি এক প্রকার জায়গীর স্বরূপেই ভোগ করেন। শী জার বন্দোবস্তে রাজস্ব নিৰ্দ্ধারিত হইলেও তাহ রীতিমত আদায় হইত না । রণমস্ত খার পৌত্র সাধুণীল আসাদুল্লার नश्डि মুর্শিদকুলী থার বন্দোবস্ত হয়। বর্তমান মুর্শিদাবাদের পশ্চিমাংশ এবং বীরভূম, সেন হুম, ভুরকুণ্ড প্রভৃতি এই জমিদারীর ৮ বীরভূমি