*", 학: II ইউসুফপুর ও পুটিয়া । 8、 >
অন্তভূতি এবং ইহাই বাঙ্গলার প্রধান মুসলমান জমিদারী ছিল। ২২ পর গণায় ইহার সদর জমা ৩,৬৬,৫০৯ টাকা ধর্ম হয়। মীরকাসেমের সময়ে বীরভূমির রাজা বিদ্রোহী হন ; তখন রাজস্ব বর্জিত হইয়া ১৩,৪২,১৪৩ টাকা করা হইয়াছিল। উত্তর রাষ্ট্ৰীয় কায়স্থবংশীয় ভবেশ্বর রায় ও তৎপুত্র মহাতপ প্রতাপাদিতোর . বিরুদ্ধে মানসিংহকে সাহায্য করিয়া বর্তমান যশোরের মধ্যে ম. সৈদপুর প্রভৃতি জমিদারী প্রাপ্ত হন। মহাতপের পৌত্র । মনোহর রায় ইউসুফ পুর প্রভৃতি জমিদারী পাইয়া রাজা বলিয়া পরিচিত হন ( ১৬৯৬খু: ) । তাহার পুত্র কৃষ্ণরামের সহিত মুর্শিদ কুলী গার বন্দোবস্তে ২৩ পরগ rার ১,৮৭,৭৫৪ টাকা জমা ধার্ঘ্য হয় । ই হার বংশাবলী এখনও যশোহর চাচড়ার রাজা বলিয়া পরিচিত । সে কালে ইহাদের জমিদারী যশোরের অৰ্দ্ধাংশ এবং বৰ্দ্ধমান, খুলনা ও ২৪ পরগণার কিয়দংশ লইয়া বিস্তৃত ছিল। মীরকাসেমের বন্দোবস্তে ইহাদের দেয় রাজস্বের পরিমাণ ৪,১৬,৩১৮ টাকা হইয়া উঠে। বৎসাচাৰ্য্য বা বংসরাচার্য নামক স্থপণ্ডিত বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ মুসলমান রাজ.. as . সরকারের সহায়তা করিয়া প্রথমে লস্করপুর বা পটিয়া মুচয় জমিদারী প্রাপ্ত হন বলিয়া কথিত আছে। কেহ কেহ বলেন, গিয়াসুদ্দীন তোগলকের সময়ে বিদ্রোহদমনে সহায়তা করিয়া বৎসরাচা লঙ্করপুর লাভ করেন । কিন্তু তিনি সংসারে বীতস্পৃহ বলিয়া তাহার পুত্ৰ পীতাম্বরই জমিদার হন। কিন্তু আমরা দেখিতেছি, পীতাম্বর হইতে চতুর্থ পুরুষে রাজা দর্পনারায়ণ মুর্শিদকুলীর সময়ে বর্তমান। এই কারণে পীতাম্বরের পুটিয়া লাভ মোগল পাঠান বিপ্লবেই ঘটা সম্ভব বলিয়া ইতিপূৰ্ব্বেই নির্দেশ করিয়াছি।(উৎসাহ-১৩০৫)। পীতাম্বরের ভ্রাতুপুত্র আনন্দরাম রাজোপাধি প্রাপ্ত হন বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে, কিন্তু আনন্দরামের জ্যেষ্ঠ সহোদর রতিকান্তের সময় হইতে পুটিয়ার জমিদারেরা দেশে পূজনীয় বলিয়া ঠাকুর উপাধিতেই পরিচিত হইয়া আসিতেছিলেন। মুর্শিদকুলী খার বন্দোবস্তে ঠাকুর অস্থাপনারায়ণের সহিত ১৫ পরগণার বার্ষিক ১,২,৫১৬ টাকা রাজস্ব নিৰ্দ্ধারিত হয়। তখন বর্তমান রাজশাহী জেলার তৃতীয়াংশ এই জমিদারীর অন্তর্গত ছিল। মীরকাসেমের বন্দোবস্তে জমা ১,২০,৭১ টাকায় পরিণত হয়। পরবর্তী কালে পুটিয়ার রাজারা আরও অনেক জমিদারী বন্দোবস্ত করিয়া লন। o
