পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*A*s, *: ফতেসিংহ—নলডাঙ্গ৷ | 8ふ)○ বিদ্রোহ সময়ে রহিম খাঁর দলে যোগদান করেন বলিয়া একবার জমিদারী হইতে ই হারা বঞ্চিত হন। পরে মুর্শিদকুলী গার অনুগ্রহে অতি কষ্ট্রে উহা পুনঃপ্রাপ্ত হন। এই সময়ে সবিতা রায়ের বংশধর আনন্দচন্দ্র নিঃসন্তান পরলোকগত হইলে ঐ বংশের অন্যতম বৈদ্যনাথের ভগিনীপতি স্বৰ্য্যমণি চৌধুরী ফতেসিংহ জমিদারী প্রাপ্ত হন। এই স্বৰ্য্যমণি বাঘডাঙ্গ বংশের স্থাপয়িতা এবং সবিতা রায়ের বংশধরগণ জেমোর রাজা বলিয়া পরিচিত। স্থানীয় লোকে ই হাদিগকে ভূমিহর ব্রাহ্মণ বলিয়া থাকে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ইহাদের অনেক সংকীৰ্ত্তি আছে এবং প্রাচীন ফতেসিংহের জমিদার বলিয়৷ ই হারা সম্মানিত। মুর্শিদকুলীর বন্দোবস্তে স্বৰ্য্যমণির পুত্র হরি প্রসাদের সহিত ১১ পরগণায় ১৮,৬২১টাকা জমা ধার্ঘ্য হয়। অতঃপর এই জমিদারী পুনরায় জেমো ও বাঘডাঙ্গার বংশের মধ্যে বিভক্ত হইয়াছিল। নাজাই বাদে ইহার রাজস্ব পরে ১,৩৭,২৯১ টাকা হয় ; মীরকাসেনের আবওয়াব, ১২,১০৩ টাকা মাত্র চাপিয়াছিল । কথিত আছে যে বর্তমান নলডাঙ্গ রাজবংশের আদিপুরুষ বিষ্ণুদেব হাজরা বাদশাহী সৈঙ্গের রসদ-সংগ্ৰহ করিয়া দেওয়ায় ৫ খানি গ্রামের জমিদারী লাভ করেন। তাহার বংশের শ্রমস্ত রায় মহমুদশাহীর জমিদারী প্রাপ্ত হন। রাজা সীতারাম রায় প্রবল হইয়া এই ভূভাগের অধিকাংশ গ্রহণ করেন। তাহার উচ্ছেদের পর নদী প্রভৃতি ভূষণার উৎকৃষ্ট অংশ রাজশাহী জমিদারীর অন্তর্ভূত হয়। অবশিষ্ট ভাগ নলডাঙ্গা বংশের রাজা রামদেবের সহিত বন্দোবস্ত হয়। জায়গীর বাদে ২৯ পরগণায় ১,১৩,৬৩৩ টাকা রাজস্ব নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছিল। সংশোধিত বন্দোবস্তে জমা আরও বৰ্দ্ধিত হয়। অবশেষে নীর কাসেমের আবওয়াব প্রভৃতিতে ১,১৮,১৮৮ টাকা বাড়িয়া রাজা কৃষ্ণদেবের সময়ে সদর জমা ২,৭৩,৪৩৪২ টাকা হইয়াছিল। - চাকলা ঘোড়াঘাটের অন্তর্গত ইদ্রাকৃপুর বা আরঙ্গাবাদ জমিদারী অনেক দিন হইতে এক বারেন্দ্র কায়স্থ বংশের অধিকৃত ছিল বলিয়া কথিত হয় । প্রবাদ আছে যে, জমিদার ভগবান নিৰ্ব্বোধ থাকায় তাহার দেওয়ান ভগবান কৌশল করিয়া ঢাকা হইতে নিজ নামে ঐ জমিদারী বন্দোবস্ত করিয়া লন। শেষে জমিদার ১ আনা ও দেওয়ান ৭ আন অংশ পান। ঐ দেওয়ানের অংশ পরে দিনাজপুরের রাজাদিগের অধিকারে আইসে। রাজার অংশের ৫ আন মধুসিংহ • মহমুদ শাহী ভূষণ। ১৪ ইদ্রাকপুর ( ঘোড়াঘাট )