পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯শ, আঃ জায়গীর জমা । 8շԳ দেবের সহিত ১১ পরগণায় ইহার সদর জম। ৬৪,২৪৯ টাকা ধার্ঘ্য হইয়াছিল । পরে এই জমিদারী উক্তবংশীয় তিন জনের মধ্যে বিভক্ত হয় এবং মীরকাসেমের বন্দোবস্তে ১,১৯,০৪০ টাকা রাজস্ব নিরূপিত হয় । (৭) আতিয়া, কাগমারী, বড়বাজু, হোসেনশাহী ইত্যাদি চাকলা ঘোড়াঘাটের অন্তভূ ত এই তালুক গুলি ১০ পরগণায় ৬৭,৮৮৩ টাকায় বন্দোবস্ত হয়। মীর কাসেমের বন্দোবস্তে প্রধানতঃ ৪জন মুসলমান তালুকদারের অধীনতায় ইহার জমা ১,১১,০৪১ টাকা হইয়াছিল। - (৮) শালবাড়ী—সরকার বাজুহার অন্তর্গত (বর্তমান দিনাজপুরে এই প্রসিদ্ধ পরগণার রাজস্ব ৫৭,৪২১ টাকা ধাৰ্ণ হয়। পরে ইহা বিভিন্ন তালুকদারের অধিকারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়। মীর কাসেমের সময়ে ইহার সহিত বাৰ্ব্বেকপুর মসিদ প্রভৃতি পরগণা মিলাইলা সদর জন্য ১,৬৬,৪৭৭ টাকা হইয়াছিল । (৯) তাহেরপুর, বাৰ্ব্বেক্ৰপুর ও মসিদ এই তিন পরগণা ভিন্ন ভিন্ন জমিদারের সহিত ৫৫,৭৯১ টাকা জমায়ু বন্দোবস্ত হইয়াছিল। তাহেরপুর তৎকালে বিখ্যাত রাজ কংসনারায়ণের বংশধরগণের হস্তে ছিল ; পরবর্তী কালে তাহাদের দৌহিত্র বর্তমান বংশ ঐ জমিদারীর অধিকারী হইয়াছেন। বাবেঙ্কপুর পরে বর্তমান দুবলহাটী রাজবংশের অধিকারে ছিল। (১০) চাদলাই প্রভৃতি ক্ষুদ্র মহাল—সুর্শিদাবাদ, আকবর নগর, ঘোড়াঘাট ও জাহাঙ্গীর নগর এই চারি চাক্‌লায় প্রক্ষিপ্ত। নবাব সরকারের একজন প্রধান হিন্দু কৰ্ম্মচারীকে এই ২৪ তালুক ও ৭ পরগণা ৫৫৭২৯ টাকা জমায় প্রদত্ত হয়। পরে ইহা সত্রজিং ও ভোলানাথ এই দুই জনের মধ্যে বার আনা ও সিকি এই দুই অংশে বিভক্ত হয়। (১১) পাতিলাদহ ও কুণ্ডা-চাকলা ঘোড়াঘাটের মধ্যে এই দুই তালুক ৭ পরগণায় ৬৭,৬৩২ টাকায় বন্দোবস্ত হইয়াছিল। শেষে ইহার অধিকাংশ রাজশাহী জমিদারীর অন্তর্গত হয়। (১২) সন্তোষ প্রভৃতি-ঘোড়াঘাটের মধ্যস্থিত ( বর্তমান ময়মনসিংহ ) এই বন্দোবস্তে ২ পরগণায় ৯৪,৮৩৭ টাকা জমা ধাৰ্য্য হয়। তখন রঘুনাথ নামে এই ব্যক্তি ইহাদের অধিকারী ছিলেন । পরে ইহা দিনাজপুর ও রঙ্গপুর জমিদারীর অন্তভূক্ত হয়। (১৩) আলাপ সিং ও মমিন সিং—দুই পরগণা এই বন্দোবস্তের সময়ে ৭৫,৭৫৫ টাকা জমায় টি করার মহম্মদ মেহদীর নামে লেখা দেখা যায়।