পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫৫৪

QR8 বাঙ্গলার ইতিহাস । 를 를 প্রধান জমিদারী সনন্দ মুর্শিদকুলীখার বন্দোবস্তের পরে প্রদত্ত ; সুতরাং ফররোথ শেরের নামাঙ্কিত । গ্রন্থভাগে এবং পরিশিষ্ট্রে নিদিষ্ট জমিদারী সনন্দের আদর্শে দৃষ্ট হইবে, প্রজাপালন করিয়া ও মহালের সরহদ বজায় রাখিয়া ক্ষেত্রের উৎপাদিকা শক্তি বৰ্দ্ধিত হইয়া যাহাতে প্রাপা রাজকর রীতিমত আদায় ও সরকারে দাখিল হয়, তাহ জমিদারগণের কর্তব্য বলিয়া নির্দিষ্ট থাকিত। নিজ নিজ অধিকারের মধ্যে রাজপথসংস্কার ও ছষ্টের দমন ও জমিদারের কার্য্য ছিল । নুতন জমিদারী পত্তন হইলে, অনেক সময়ে এই সনদ প্রাপ্তির সঙ্গে জমিদারকে এক জামিন্‌নামা ও মুচল্কা কবলতী লিখিয়া দিয়া সনদের নিয়ম প্রতিপালনে অঙ্গীকারবদ্ধ হইতে হইত। যথেচ্ছ জমিদারীর উচ্ছেদে মুসলমান-রাজের আইনসঙ্গত ক্ষমতা থাকিলেও দেশাচার অনুসারে কোন জমিদারের লোকান্তরের পর তাহার উত্তরাধিকারীই জমিদারী পাইতেন । বিদ্রোহ বা রাজস্ব-দানে চিরশৈথিলাই উৎখাতের সর্বপ্রধান কারণ হইত। একের জমিদারী অপর ব্যক্তিকে দান বিক্রয়াদি করিবার আবখ্যক হইলে সেকালে মুবাদারের অনুমতি লইতে হইত। বাস্তবিক রাজদত্ত সনন্দ ও চিরপ্রচলিত প্রথা এক যোগে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের জমিদারী স্বত্বের ভিত্তি ছিল। এজন্য সেকালের জমিদারীর মূল্যও অধুনাতন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে সুদৃঢ় জমিদারীর তুলনায় অনেক অল্প ছিল। তথাপি জমিদারী স্বত্বের কোন মূল্য ছিল না বলিয়া অনেকে যে নির্দেশ করিয়াছেন, তাহার সমর্থন করা যায় না। স্বয়ং মুর্শিদ কুলী খাই মরণাস্তে স্বীয় ব্যক্তিগত সম্পত্তি দিল্লী-সরকারে বাজেয়াপ্ত হইতে পারে বলিয়া, দৌহিত্র সরফরাজের ভবিষ্যৎ উপায়বিধানের নিমিত্ত আসন্নগর প্রভৃতি জমিদারী রাখিয়া যান। এক্ষণে মুসলমানশাসনে প্রজার স্বত্ব ও অধিকার কিরূপ ছিল, দেখা যাউক। কাল ক্রমাগত প্রথানুসারে উত্তরাধিকারস্থত্রে নিজ নিজ জমির দেয় রাজস্ব প্রদান করিয়া শস্ত উৎপাদন এবং ভোগ করাই তাহদের প্রধান স্বত্ব । এই স্বত্বের উৎপত্তি ও ব্যবহার নির্ণয় করিতে হইবে। প্রজা ও রায়ৎগণের নানা প্রকার ভেদ এবং প্রদেশ ও প্রজাবিভাগ অনুসারে বিভিন্ন চিরাগত প্রথা বর্তমান থাকায়, সকল শ্রেণীর প্রজা সম্বন্ধে একই বিবরণী অসম্ভব। প্রথমত: নির্দেশ করা যাইতে পারে,রাজার ভূমিতে স্বত্ব সৰ্ব্বদেশেই প্রজার স্বত্ব দ্বারা সীমাবদ্ধ ; জমিদারবর্গের সহিত বন্দোবস্তে তাহদের রাজস্ব আদায়ের স্বত্বের সহিত o