পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫৫৭

-, . প্রজার স্বত্ব । Qミ" প্রদত্ত আরঙ্গজেবের এক পরোয়ান হইতে কয়েকটি বিষয় উদ্ধত করিয়া (১) অনেক ইংরেজ লেখক প্রমাণ করিতে ইচ্ছা করেন, একালে অত্যাচার করিয়া জমি আবাদ করান হইত। মুর্শিদকুলী খার প্রজাবৰ্গকে তাগাব অর্থসাহায্য দিয়া ভূমির উৎকর্ষসাধনের ব্যবস্থায় এবং বাঙ্গলার জমিদারী সনন্দে প্রজাবর্গের প্রতি সবিশেষ দৃষ্টি রাখিবার ও করবৃদ্ধিনিষেধের কথায় ইহার প্রতিকূল প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। কথিত পরোয়ানা একটি রাজ স্বসঙ্গীয় বিধানবিশেষ ; ইহার এক স্থানে বাদশাহ রাজস্ব-আদায়কারী তহশিলদারগণকে আদেশ তছেন, “তাহারা বৎসরের প্রারম্ভে কৃষকগণের অবস্থা যথাসাধ্য জ্ঞাত হইবে, ইহার রীতিমত চাষ আবাদ করিতেছে কি অবহেলা করিয়াছে, তং প্রতি সুতীক্ষ দৃষ্টি রাখিতে হইবে। পরিশ্রমী কৃষকগণের প্রতি সদয় ব্যবহার করিবে ; কিন্তু যাহারা উপায়সত্বে ও আবাদে অবহেলা করিয়াছে, তাহাদিগকে ভৎসনা করিবে, ভয় দেখাইবে, বল প্রয়োগ করিবে ও বেত মারিবে ।’ এই ঘোষণা পত্রের নজীর দেখাইয়া মুসলমান ও ইংরেজ আমলের সন্ধিস্থলে স্থিত্যন্তর অবস্থায় বাঙ্গল'র রয়েংগণের প্রতি অদ্যায়াচরণ প্রমাণ করিবার চেষ্টা করা হইয়াছে ! ডাঃ হণ্টার লিখিয়াছেন, বঙ্গদেশে জমিদার ও আমিল প্রভৃতি ইজারদারগণের স্থায়ী প্রজাকে বাধা করিয়া জমি আবাদ করাইবার অধিকার ছিল ;– তাহারা এই অধিকার (স্বত্ব) প্রথা-বিশেষের প্রয়োগে সজীব রাখিতেন। প্রজাগণকে বলপূর্বক ধরিয়া আনা, বন্দিভাবে রাখা, বিদ্রোহভাবযুক্ত গ্রামসমূহে ফেজ, নিযুক্ত করা, এবং পলাতক প্রজাগণের বাকী খাজান অবশিষ্ট স্থায়ী প্ৰজাগণের নিকট আদায় করা, এই গুলি প্রথা ছিল। পলাতক প্রজার অনুসরণ করিতে তাহার নূতন বাসস্থান পর্যন্ত আক্রমণ করা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে বাধা করিয়া পলাতককে পূৰ্ব্বস্থানে লইয়া আসা ও তাহদের অধিকারের অন্তর্গত ছিল। হণ্টার মহোদয় স্বীকার করেন যে, এইরূপ ব্যবস্থা দশসালা বন্দোবস্তের পূর্ব বিংশ বৎসরেই বিশেষ ভাবে লক্ষিত হয়। মুসলমান অধিকারে স্থায়ী প্রজাবৰ্গকে বাধা করিয়া কেবল তাহদেরই কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য করাইয়া লওয়া হইত, এমন নহে। প্রকৃঃপঙ্কতিক্রমে তাহদের স্বত্বরক্ষার ও ব্যবস্থা ছিল। পৈতৃক বাস্তবাটীতে বাস, পুরুষানুক্রমে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত জমি পরগণা-প্রচলিত প্রথা অনুসারে ভোগদখল করা তাহাদের (>) Boughton Rouse, Disserations. vide also Dr. Hunter's Rev. Board Records. .