পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫৬৮

○ 芝b- বাঙ্গলার ইতিহাস । -", 학 এই কালের ইংরেজ কোম্পানীর হিসাবের কাগজপত্রে ( ) দৃষ্ট হয়, ১৭১০ খৃষ্টাব্দে একবার কলিকাতা অঞ্চলে লোকের অন্নকষ্ট উপস্থিত হইলে চাউলের দর টাকায় এক মণ দশ সের হইয় পড়ে। এ সময়ে কোম্পানীর বাঙ্গালী শিকদারের বেতন মাসিক ৪ টাকা ছিল। তহশীলদারের তিন টাকা হইতে ২ টাকা ও পাইকের ২২ টাকা ছিল। তহশীলদার বা পদাতিকশ্রেণীর উপরি আয় ছিল, স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য। পাচ টাকার গ্রাম্য গোমস্তার বাটতে দোল দুর্গোৎসব হইত। সাধারণ লোকের দিনমজুরী তিন শতাব্দী ধরিয়া দৈনিক এক আনা ছিল, দেখা যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বর্গীর হাঙ্গামার পশ্চিমবঙ্গ বিধ্বস্ত হইলেও পূৰ্ব্বদেশে লোকের মুখস্বাচ্ছন্দের অভাব ছিল না। বর্গার হাঙ্গামা রাষ্ট্রবিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গে রাঢ় অঞ্চলে অন্নকষ্ট দর্শন দিয়াছিল। ১৭৫২ খৃষ্টাব্দে ২০শে নবেম্বর কলিকাতার কোম্পানীর প্রধান তহশীলদার গোবিন্দরাম মিত্র রিপোর্ট করিয়াছেন, ঘাট বৎসর ধরিয়া যেরূপ দুর্ভিক্ষ ঘটে নাই—অধুনা দুই বৎসর ধরিয়া তাহাই উপস্থিত হওয়ায় কোম্পানীর মাশুলখানায় অল্প জমা ধাৰ্য্য করিতে হইয়াছে । (২) তাহার নির্দেশ মতে ১৭৫১ ও ৫২ খৃষ্টাব্দে যথাক্রমে চাউল ৩২ ও ১৬ সের, অঙ্গ শস্ত এক মণ ও ১২ সের, এবং তৈল ৮ ও ৩ সের হইয়াছিল। কলিকাতা কাউন্সিলের মন্তব্যপত্রে দৃষ্ট হয়, ১৭৩৮ খৃষ্টাব্দে কাপাস দুই টাকা হইতে আড়াই টাকা মণ এবং চাউল দুই মণ বিশ সের হইতে তিন মণ করিয়া বিক্রীত হইত ; কিন্তু ১৭৫২ খৃষ্টাব্দে সকল সামগ্রীর মূল্য শতকরা ত্রিশ টাকা বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। ১৭৫৪ খৃষ্টাব্দে সরু চাউল ৩২ই সের ও মোটা এক মণ দর হইল, এবং প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ভবিষ্যং ভরসা বিলক্ষণ যন্তোষজনক হইয়া উঠিল। এ সময়ে খাজাঞ্চী তহশীলদারের মাসিক বেতন পাচ টাকায় উঠিয়াছিল। ১৭৫৭ খৃষ্টাব্দে বহরমপুর ক্যান্টনমেন্ট নিৰ্ম্মাণের প্রথম প্রস্তাবে জঙ্গল পরিষ্কার ও মাটী কাটিবার কাৰ্য্যে কুলিগণকে দিবার নিমিত্ত আনা মুদ্রিত করিবার কল্পনা হইল। ইতিপূৰ্ব্বে কড়ি দ্বারা এই শ্রেণীর লোকের দৈনিক বেতন দেওয়া হইত ; বহুলোকের কার্য্যে কড়ির বিনিয়োগে গোল হইবার সম্ভাবনা বলিয়াই এই প্রস্তাব। ১৭৫৮ খৃষ্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম নিৰ্ম্মাণে সাধারণ ( ; ) Wilson's Early Annals and Records—vol. 1. ( & ) Rev. Long's Selections from Bengal Records. P. 38.