পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, || আরঙ্গজেবের মৃত্যু । 8 y মধ্যে বিবাদ সংঘটিত হইলে ফল বিষময় হইবে, বাদশাহী শিবিরের ধনরত্ন ও বেগমগণকে লইয়া বিঘটন ঘটবে, এরূপ ধারণাও জন্সিয়াছিল। তেজীয়ান । বৃদ্ধের ভয়ে অনিচ্ছাসত্বে ও পুত্রদ্বয় তাহার নিকট হইতে চলিয়া যাইতে বাধ্য হইলেন। ভ্রান্তধৰ্ম্মবুদ্ধিপ্রণোদিত আনুষ্ঠানিক মুসলমান সম্রাট কাফের হিন্দুগণের প্রতি অন্যায়ীচরণ করিয়াছেন, রাজ্যলাভার্থ কূটকৌশলে ভ্রাতার পক্ষ বলিয়া পিতার প্রতিও অমানুষ কঠোর ব্যবহার প্রদর্শন করিয়াছেন ; এ সমস্ত উপেক্ষার বিষয় না হইলেও, অপক্ষপাত ইতিহাসের চক্ষে আরঙ্গজেবের সুদীর্ঘকালের শাসনশ্বজুলী ও ঐকান্তিক প্রজা-হিতৈষণা অবশ্যই প্রশংসনীয়। মনস্বিতায় জগতের ইতিহাসে তাহার মত নরপতি বড় সুলভ নহে। মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে পুত্রদ্বয়কে সম্বোধন করিয়া আরঙ্গজেব যে পত্র লিখেন, তাছাতে তাহার প্রাণের কথা বাহির হইয়াছে। শাস্ত্রমতে ধৰ্ম্মাহুষ্ঠান করিয়াও তাহার বিবেক পরিতৃপ্ত হয় নাই। মৃত্যুর অব্যবহিত পূৰ্ব্বে আরঙ্গজেব বলিয়াছিলেন,-“সংসারে সঙ্গে কিছুই আনি নাই, কিন্তু পাপের বোঝা বহন করিয়া লইয় যাইতেছি। ভগবানের কৃপার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকিলেও, স্বকীয় কৃতকার্যের জন্য প্রাণ বড়ই কাতর। যাহা হয় হউক, আমি অকূল পাথারে জীবন-তরী ভাসাইলাম।” ( ) মুসলমান গ্রন্থকারের মতে সম্রাট শুক্রবারে মৃত্যুকামনা করেন ; ভগবান প্রার্থন পূর্ণ করিয়াছিলেন। কথিত আছে, আরঙ্গজেব সমগ্র রাজ্য পুত্ৰগণের মধ্যে বিভক্ত করিয়া, বিভাগপত্র হামিদুদ্দীন নামক বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীর হস্তে রাখিয়া যান ( ২ )। কিন্তু সে কথায় কে কৰ্ণপাত করে ? মোগলকুলে কয় জন শান্তভাবে সিংহাসন গ্রহণ করিয়াছেন ? আজিম্‌ শ তখন মালবের দিকে বিংশতি ক্রোশমাত্র অগ্রসর হইয়াছিলেন । ত্বরিতপদে আহম্মদনগরের দিকে যাত্রা করিয়া বাদশাহী তাম্বুর ধনসম্পত্তি হস্তগত করিলেন। বাদশাহের প্রিয় পুত্র বলিয়৷ অনেক সময়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই থাকিতেন ; সুতরাং দরবারের ওমরীগণের অনেকেই তাহার পক্ষ অবলম্বন করিলেন । সম্রাটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আজিম শ প্রকাশুভাবে বাদশাহী মসনদে আরোহণ করিলেন, এবং অনতিবিলম্বে দিল্লী অধিকার করিবার জন্য সমগ্র বাদশাহী-বাহিনী সঙ্গে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। এ দিকে ইতিপূৰ্ব্বেই সম্রাটের আদেশে ( ) আজিম শী ও কামবক্কসের পত্র। ইরাদৎ থা ( Scott. ) (*) Khafi Khan in Elliot, Vol, VII, p 386, o