পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** দিল্লীর বিপ্লব ও মুর্শিদকুলী খাঁ । 8○ আপন প্রতিনিধি রাখিয়া যান। সুলতান ফররোথ শের এই সময়ে ঢাকা হইতে মুর্শিদাবাদে আগমন করিলে, কুলী খাঁ তাহাকে সসম্মানে লালবাগের প্রাসাদে অভ্যর্থনা করেন। কিছু কাল পরে ফররোথ শের রাজমহলে বাসস্থান নির্দিষ্ট করিয়াছিলেন ; ইংরেজ কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিগণ এই সময়ে রাজনহলেই তাহার ও দেওয়ানের নিকট প্রার্থনাদি করিতেছেন, দেখা যায় ( ) ১৭০৯ খ্ৰীষ্টাব্দের জানুয়ার মাসে দক্ষিণাপথে কাম্রশ্নও পরাভূত হন ; তিনিও আজিম শার মত সন্ধির প্রস্তাবে অসন্মত হইয়াছিলেন। কাম্বক্সের পরাভবের পর কুলী খাঁ ও ফররোথ শের দিল্লী যাত্রা করেন, এবং শের বলদ গ বাঙ্গলার মুবাদার নিযুক্ত হইয়া আসেন। সম্ভবতঃ আজিমুম্বান এত দিনে অবসর বুঝিয়া কুলী খাকে পদচ্যুত করিবার কল্পনা করিয়াছিলেন। কিন্তু সমগ্র মোগলরাজ্যে তখন দেওয়ানের সুপ্রতিষ্ঠা হইয়াছে ; নবীন সম্রাটুও বিশেষ গুণগ্রাহী ছিলেন। এই কারণেই পুনরায় ১৭১০ খৃষ্টাব্দের প্রথমে কুলী খ বাঙ্গল বিহার উড়িষ্যার দেওয়ান ও কাৰ্য্যতঃ সুবাদার হইয়া নামমাত্র সুবাদার ফররোধ শেরের সহিত পুনরাগমন করিলেন। যুবরাজ এক্ষণে দেওয়ানের পরামর্শেই সমস্ত রাজকাৰ্য্য নিৰ্বাহ করিতেন। কিঞ্চিদুন পঞ্চবর্ষমাত্র রাজত্ব করিয়া বাদশাহ বাহাদুর শা পঞ্চস্থ প্রাপ্ত হইলেন । পুনরায় মোগলকুলের চিরপ্রচলিত প্রথামত ভ্রাতৃবিরোধ উদ্দীপিত হইল। এবার এক দিকে জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ স্থলতান নয়জুদ্দীন, অন্ত পক্ষে আমাদের পূৰ্ব্ব বন্ধু শাজাদ। আজিমুম্বান। মৃত্যুর পূর্ব হইতেই আজিমুম্বানের প্রতি সমধিক অনুরাগ প্রকাশ করায়, অন্ত পুত্রব্রয়ের সহিত বাদশাহের কিঞ্চিৎ মনোমালিন্তের স্বচনা হয়। পিতার স্নেহভাজন বলিয়া আজিমুশ্বান তাহার সঙ্গে সঙ্গে থাকিতেন, এবং রাজকাৰ্য্যের অনেক ভার তাহারই উপর ন্যস্ত ছিল। ১১২৪ হিঃ সালে ( ১৭১২ খৃঃ) লাহোর-শিবিরে বাদশাহের মৃত্যু হইলে, রাজকোষ ও রাজকীয় কামান প্রভৃতি আজিমুশ্বানের হস্তেই পড়িয়াছিল। ময়জুলীন পিতার উপর অভিমান করিয়া শিবিরে আসেন নাই। প্রধান প্রধান আমীর ওমরাগণ এ জন্ত আজিমুশ্বানেরই পক্ষে ছিলেন। ইহা ব্যতীত আজিমুশ্বানের নিজের সৈন্যবল ছিল। ক্ষিপ্রকারিতার সহিত কাৰ্য্য করিলে অনতিবিলঙ্গে তিনি ভ্রাতৃগণকে পর্যুদস্ত করিয়া রাজদওগ্রহণে সক্ষম হইতেন। কিন্তু চিরাভ্যস্ত বাদশাহী চালই আজিমুশ্বানের কাল ( ; ) Wilson's Annals,