পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

학: || লোকের সুখস্বাচ্ছন্দ্য। ○ ? অপরাধীকে গর্দভপৃষ্ঠে নগর পরিক্রমণ করান হইত । সহর ও বাজারে শ্যাদির আমদানী স্বাভাবিক আমদানী অপেক্ষা অল্প বিবেচিত হইলে বাণিজ্যবিভাগের কৰ্ম্মচারিগণ মফঃস্বলের মহাজনদিগকে মজুদ শস্ত বাজারে আনিতে বাধা করিতেন। মুর্শিদাবাদে এ সময়ে সাধারণতঃ টাকায় ৪ । ৫ মণ করিয়া চাউল বিক্রীত হইত। অন্যান্ত শস্ত্যাদি ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্য এই অনুপাতে স্থলভ ছিল। এই কারণে রিয়াজ গ্রন্থকার গোলাম হোসেন এই স্থলে বলিয়াছেন, এ সময়ে মাসে এক টাকা আয় হইলে এক জন লোক ছ বেলা উদর পূরিয়া BBBB BBBS BBB SBBB S BBB BBBBB BBBB BBBBB ৫। ৬ মণ ছিল। এই কারণে দরিদ্র ভিক্ষুক পৰ্য্যন্ত আনন্দে কালাতিপাত করিত। নবাবের আদেশে ইউরোপীয়গণের দ্বারা বিদেশে শস্ত রপ্তানী বন্ধ ছিল ; জাহাজের লোকের উপযুক্ত খাদ্য ভিন্ন অধিক পরিমাণ শস্ত কদাচ যেন বাহিরে যাইতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি ছিল। মহাজনগণ অযথা লাভের আশায় শস্তসঞ্চয় করিতে পারিতেন না । ( ১ ) মুর্শিদকুলী সৰ্ব্বদা কৰ্ম্মনিষ্ঠ ও আলস্তবিরহিত ছিলেন । রজনীতে অল্পকাল মাত্র নিদ্রায় অতিবাহিত করিতেন । তিনি ধৰ্ম্মনিষ্ঠ আনুষ্ঠানিক মুসলমান ছিলেন ; নির্দিষ্ট সময়ে উপাসনা ও ব্রতনিয়মাদির পালন করিতেন। সুন্নী মুসলমানগণের সমাজে ও ধৰ্ম্মবৈঠকে সৰ্ব্বদা তাহার গতিবিধি ছিল। প্রাতরাশের পর মধ্যাহ্ন পর্য্যন্ত বিচারবিতরণ ও কোরাণের প্রতিলিপি প্রস্তুত করিয়া অতিবাহিত করিতেন। প্রতি বর্ষে বহুমূল্য উপহার সহ স্বহস্তে লিখিত কোরাণ, মেদিনা বোগদাদ প্রভৃতি তীর্থস্থানে প্রেরণ করিতেন। (২) ধৰ্ম্মশিক্ষার জন্ত নানা স্থানে অর্থসাহায্য দান করিতেন। যুদ্ধকার্য্যের জন্ত সিপাহী শাস্ত্রীর পরিবর্তে, ধৰ্ম্মানুশাসনে দুই সহস্ত্রের অধিক কারী-সৈন্ত ( কোরাণ-পাঠক ) রাজধানীতে রাখিয়া পালন করিতেন । কারীগণকে (১ ) বর্তমানে অবাধ-বাণিজ্যনীতির উপাসকগণ অবং এই ব্যবস্থার অনুমোদন করিবেন না ; কিন্তু ইদানীন্তন স্থায়ী দুর্ভিক্ষ লক্ষ্য করিয়া, সেকালের ব্যবস্থামত স্বরাজ্যে প্রজাবগের অনাহার নিবারণের চেষ্টা নিন্দিত বলিয়া বোধ ন হইতেও পারে। এ স্থলে বলা উচিত, নান অনুসন্ধানে জ্ঞাত হওয়া যায়, এ সময়ে নগরে সাধারণ শ্রমজীবিগণের পারিশ্রমিক দৈনিক চারি পয়সার অনধিক ছিল না বিশেষ বিবরণ অচ্চত্র দ্রষ্টব্য। - (২) রিয়াজ-উস-সালাতিন গ্রন্থকার বলেন, মালদহ দাদুল্লাপুরে সিরাজুদ্দীন ফকীরের সমাধি-মন্দিরে তিনি মুর্শিদকুলীর হস্তলিখিত কোরাণপত্ৰ দেখিয়াছিলেন।