পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৭৪

Qb" বাঙ্গলার ইতিহাস । ং শু নসেরুয়ার সদৃশ ছিলেন। পূৰ্ব্বতন সম্রাট বা স্থবাদারগণের প্রদত্ত ধৰ্ম্মার্থে দান তাহার সময়েই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছিল। তিনি বিপন্নের রক্ষক, দুৰ্ব্বলের বন্ধু ছিলেন বলিয়া তাহার রাজ্যকালে ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র প্রজা পৰ্য্যন্ত অত্যাচারীর হস্ত হইতে সুরক্ষিত ছিল। জমিদার বা সরকারী কৰ্ম্মচারিগণের কাহাকেও উৎপীড়ন করিবার অবকাশ ছিল না। রাজকৰ্ম্মচারিবর্গ বড়লোকের মুখ চাহিয়া বা পক্ষপাত করিয়া হ্যায়বিচারবিতরণে কুণ্ঠ প্রদর্শন করিলে কুলী খ বিচারপ্রার্থীর আবেদন পাইলেই তাহা স্বহস্তে গ্রহণ করিতেন। সৰ্ব্বত্র সমদর্শী নবাব বিচারবিষয়ে কুত্ৰাপি কাহারও প্রতি স্নেহ বা অনুগ্রহ প্রদর্শন করিতেন না। তাহার শাসনকালের শেষ অবস্থায় ( ১ ) হুগলীতে এমামুদ্দীন নামে এক সুদক্ষ কোতোরাল ছিলেন। তিনি জনৈক মোগলের কন্যাকে বলপূর্বক পিতৃভবন হইতে লইয়া যাওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত হইলে, হুগলীর ফৌজদার তাহার সুবিচার করেন নাই । কস্তার পিতা নবাব-দরবারে বিচারপ্রার্থ হইলেন। অভিযোগের সত্যতা সপ্রমাণ হইলে কুলী খ আদেশ প্রচার করিলেন,–কোরাণের নির্দেশ অনুসারে অপরাধীকে প্রস্তরনিক্ষেপে হত্যা করিতে হইবে । ফৌজদার আসলুল্লা নবাবের প্রিয়পাত্র ছিলেন ; কিন্তু তাহার অনুনয় বিনয় এ ক্ষেত্রে কার্য্যকর হইল না । ( ২ ) “আলমগীর বাদশাহের রাজ্যকালে মুর্শিদকুলী জাফর খাঁ জেন্দাপীরের ( ৩) শাসনসময়ে উৎকোচাদি অর্থপ্রয়োগে কাজীর পদ লাভ সম্ভব ছিল না। ভদ্রবংশীয় সুচরিত্র পণ্ডিত ব্যক্তিই কাজীর কার্য্যে নিযুক্ত হইতেন । ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় বিচারকার্য্যে কুলী খাঁ কাজী মহম্মদ শরফের উপদেশ গ্রহণ করিতেন। এই প্রধান কাজী শরফ আরঙ্গজেবের নিয়োজিত। পাণ্ডিত্য, ধৰ্ম্মজ্ঞান ও সাধুতার জন্ত তাহার বিশেষ স্থখ্যাতি ছিল। কোন সময়ে জনৈক মুসলমান ফকীর চুণাখালীর জমিদার বৃন্দাবনের নিকট কিঞ্চিৎ ভিক্ষা প্রার্থনা করে। ফকীরের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হইয়া, বৃন্দাবন তাহাকে SS S BBBBB BBBB BBB SBBB BBBBS BBBBDSDD BBBBS প্তাহার শেষ অবস্থায় হুগলীর ফৌজদার ছিলেন, তাহার অন্ত প্রমাণ আছে। S gBBB BBB BBBB BB BBBB BBB BBBB BBBS BB BB BBB অপরাধে মৃত্যুদণ্ড, তথাকথিত ইউরোপীয় সভ্যসমাজেও অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত দৃষ্ট হয়। SS S BBBBB BB K BB BBBB BBB BBBB BBBB BBBB কবরস্থানে, মুসলমানগণ পীর (সাধুপুরুষ ) বলিয়াই তাহার সন্মান করেন।