পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 বাঙ্গলার ইতিহাস । 를 3: | বর্ণিত ইস্তফাপত্র প্রকাশিত হইবার পরেও যাহারা মুর্শিদকুলী খাঁর বিষয়ে পূৰ্ব্বসংস্কারে ইস্তফা না দিবেন, তাহীদের প্রতি আর কোন বক্তব্য নাই । দলীলের উপরে স্বয়ং নবাব, প্রধান কাজী, কানুনগো, সওয়ানে নেগার ও ফৌজদারের মোহর রহিয়াছে। প্রধান কৰ্ম্মচারিবর্গের ও সভাসদ ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণের স্বাক্ষর আছে। নবাবের নিয়োগে মুর্শিদাবাদেই এই ধর্মের বিচার হইয়াছে, দরবারের সদস্তবর্গের স্বাক্ষরই তাহার প্রমাণ। যিনি ধৰ্ম্মধৰ্ম্মের সিদ্ধান্ত বিনাবিচারে হয় না, এই মত প্রকাশ করিয়া, সুদুর তৈলঙ্গ ও সুবর্ণগ্রাম হইতে ব্রাহ্মণপণ্ডিত আনাইয়া, বৈষ্ণবের ধৰ্ম্মবিচারে সাহায্য করেন, । তাহারই আদেশে, অন্ততঃ চক্ষের সমক্ষে, হিন্দু-মন্দিরের বিনাশ কিরূপ সম্ভব । পর, তাহ সাধারণের বিলক্ষণ হৃদয়ঙ্গম হইবে। অজ্ঞাতনামা তারিখ বাঙ্গালার লেখক মুর্শিদকুলীর গুণগ্রামের উল্লেখে কাপণ্য প্রকাশ করেন নাই। এক দিকে যেমন প্রবাদদস্তুত কয়েকটি কল্পিত গল্পের চিত্র বর্ণনাতিশয্যে রঞ্জিত করিয়াছেন, পক্ষান্তরে, সদগুণরাশির বর্ণনায় লেখনীকে সেইরূপই স্বাধীনতা দিয়াছেন। এই কারণে অনেকেই তাহার অপক্ষপাতবর্ণনার সুখ্যাতি করেন। দুঃখের বিষয়, এ পর্য্যন্ত কেহই ইহার উল্লিখিত বিরুদ্ধভাবের প্রবাদগুলি একত্র সমালোচনা করেন নাই। কাজী শরফ ও মন্দিরভঙ্গের প্রবাদ, উভয়ই এক স্থানে সমাবিষ্ট হইয়াছে। আনুষ্ঠানিক মুসলমান লেখক তৎকালোচিত ব্যবস্থা অনুসারে হিন্দুমন্দির-ভঙ্গব্যাপার এ কালের চক্ষে দর্শন করিতেন না। কুলী খাঁ জেন্দাপীরের মুসলমানত্বের সম্পূর্ণ আদর্শ প্রদান করাই তাহার অভিপ্রেত ছিল মনে হয়। এই কারণেই কাজী শরফের উপাখ্যানে আরঙ্গজেবের মস্তকেই জয়পতাকা বাধা হইয়াছে ! প্রকাশিত এই দলীলের প্রতিলিপি দৃষ্টিগোচর হয়। (সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, ফাল্গুন, ১৩.৬) দলীলের বিকৃত প্রতিলিপিতে কানুনগো দপনারায়ণ, কাজি সদরুদিন, ওয়াকে নেগার প্রভৃতির নাম যথাযথ লিখিত হয় নাই। স্বাক্ষরকারী গোস্বামিগণের মধ্যে বৰ্দ্ধমান— BBBBB BBBB BBBBS BBBBB BB BBBB BBB BB BBBB B BBBB BBBBB BB BBBB BBBBB BB BB DDBB B BBBB প্রতিলিপি প্রকাশিত হইয়াছে, সেখানি মুলের অনুরূপ বলিয়। বোধ হয় না।