পাতা:বাঙ্গলার পরিচিত পাখী.djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৭ ]

সম্পাদনায় বাহির হইতেছিল তখনও ঐ পত্রিকার সহ-সম্পাদক শ্রীযুক্ত কিরণকুমার রায়ের অনুরোধে ২।৩ টী পাখীর বর্ণনা আমি লিখি। সজনীবাবু “বঙ্গশ্রী” পরিত্যাগ করার পর আমি আর লিখি নাই।

 সুদীর্ঘ ২৫ বৎসর পর হঠাৎ এক দুঃসাহসী প্রকাশকের সঙ্গে “প্রভাতী” সম্পাদক শ্রীমান মনীন্দ্রচন্দ্র সমাদ্দারের সৌজন্যে আমার পরিচয় হইল। তিনি পাখীর বই ছাপিবেনই। তাঁহাকে শ্রীকিরণ কুমার রায় আমার কথা নাকি বহুদিন পূর্ব্বেই বলিয়াছিলেন। সেই জন্যই এই প্রয়াস। বাংলার সব পাখীর খবর আজকালকার কাগজের দুষ্প্রাপ্যতার দিনে দেওয়া চলে না। মাত্র কয়েকটি পাখীর বর্ণনা এই বইতে আছে। অনেক সুপরিচিত পাখী বাদ গেল। যদি পাঠকদের ভাল লাগে তবে ক্রমশঃ অন্যান্য পাখীর কথাও লিপিবদ্ধ করিতে চেষ্টা করিব।

 বলিয়া রাখি, আমি পক্ষি-বিজ্ঞানবিৎ নহি। পক্ষিতত্ত্ব-জিজ্ঞাসু মাত্র। অরসিক সাধারণ পাঠকের জন্য ইহা লেখা। বোধগম্য হইয়াছে কিনা তাহা পাঠকগণ বিচার করিবেন। প্রাঞ্জল ও সরস হইয়াছে কিনা সমালোচকগণ বলিবেন। বৈজ্ঞানিক ভুল ত্রুটি থাকিলে আশাকরি সহৃদয় বৈজ্ঞানিক তাহা দেখাইয়া দিবেন, অসহিষ্ণু হইবেন না।

 ভারতীয় পাখী সম্বন্ধে কৌতুহলী পাঠকের সুবিধার্থে পুস্তকের অন্তে কয়েকটি খ্যাতনামা বইয়ের নাম উল্লেখ করিলাম॥

 পুস্তকের শেষে একটি পরিশিষ্টে এই পুস্তকে বণিত পাখীদের বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হইল। এ বিষয়ে ফনা অফ বৃটিশ ইণ্ডিয়া গ্রন্থমালাই প্রামাণ্য পুস্তক। ইহার প্রথম সংস্করণে জাতি হিসাবে শ্রেণী বিভাগ করিয়া নামকরণ করা হয়। দ্বিতীয় সংস্করণে আবার