এজন্য ভূমির উপর বেশ দ্রুত পদক্ষেপে চলিতে পারে। আবার বৃক্ষশাখায় ইহার গতি বেশ স্বচ্ছন্দ, চঞ্চল ও ক্ষিপ্র—কোথাও জড়তা নাই।
দ্বিতীয় বিশ্ব-সমরের পূর্ব্বে ইংরেজদের চলাফেরার দাম্ভিকতা জগৎ-প্রসিদ্ধ ছিল—প্রায় পৃথিবীটাই যে তার পদানত সে মনোভাবটা তার প্রতি পদক্ষেপে প্রকাশ পাইত। শালিকের চলাফেরার মধ্যেও ঐরূপ একটা দাম্ভিক, কুছ-পরোয়া-নাই মনোবৃত্তি পরিলক্ষিত হয়। সত্য বলিতে কি, শালিক অত্যন্ত আত্ম-প্রতিষ্ঠা-পরায়ণ পাখী। জীবন-সংগ্রাম তত্ত্বটা যদি সত্য হয় তবে শালিককে সংগ্রামসিদ্ধ বলিতে হয়। একজন ইংরেজ লেখক (ডেওয়ার) ইহাকে ‘এ বার্ড অফ ক্যারেক্টার’ বলিয়াছেন। কথাটা খুবই সত্য। শরীরটা খুব প্রকাণ্ড না হইলেও যে কেহ কেহ তেজী বা সাহসী হইয়া থাকে, একথা শালিকের চরিত্রদ্বারা প্রমাণিত হয়। কাক শালিক অপেক্ষা আকারে ও ওজনে অনেক বড় পাখী। কিন্তু কাককে সে নাস্তানাবুদ করিয়া ছাড়ে। কাকের পিছনে লাগা শালিকের একটা ব্যসন। কোনও কাক একাকী যদি শালিকের সাক্ষাৎ পায় তবে সে স্থান ঝটিতি পরিত্যাগ করিয়া যাওয়াই বুদ্ধিমানের কার্য্য মনে করে। কাক অপেক্ষাও বৃহত্তর চিলের সঙ্গেও শালিককে লাগিতে দেখিয়াছি। চিল হিংস্র-স্বভাবের এবং বদমেজাজী কিন্তু তাহাকেও শালিক অপদস্থ করিতে ছাড়ে না। একবার একটি চিল আমাদের বাসার প্রাচীরের উপর বসিয়া একখানি অপহৃত মৎস্য-খণ্ড আস্বাদনে তৎপর ছিল। এমন সময় একজোড়া শালিক তাহাকে দেখিতে পাইল। একজন চিলের সম্মুখে ও অন্যজন উহার পশ্চাতে গিয়া উপবেশন করিল। কিচির-মিচির ভাষায় চিলকে অনেক বুঝাইল যে অতি-ভোজন করিলে অসুখ করিতে পারে। চিল যখন তাদের উপদেশ বা অনুনয়ে