পাতা:বাঙ্গলার পরিচিত পাখী.djvu/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভূমিকা

 বাংলা দেশে আমি একজনকেই পক্ষিতত্ত্ববিদ বলিয়া জানি। তাঁহার নাম ডক্টর শ্রীযুক্ত সত্যচরণ লাহা এম-এ, পি-এইচ-ডি। প্রায় পঁচিশ বৎসর পূর্ব্বে তাঁহার অধীনে নিযুক্ত থাকা কালে, তাঁহার পক্ষী পর্য্যবেক্ষণ অভিযানে সহচর হইতাম ও পুস্তকাদি হইতে পক্ষী সম্বন্ধে কিছু জ্ঞানাহরণ করিতে চেষ্টা করিতাম। এ সম্বন্ধে আমার উৎসাহ ও অভিনিবেশের জন্য আমি তাঁহার নিকট কৃতজ্ঞ।

 সত্যবাবুর সাক্‌রেদী করিবার সময়, ১৯২১ সালে “সোনার বাংলা” নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা কয়েকজন উৎসাহী যুবক মিলিয়া বাহির করেন। উহার নামমাত্র সম্পাদক ছিলেন দেশভক্ত ৺পণ্ডিত শ্যামসুন্দর চক্রবর্ত্তী। এই পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন “শনিবারের চিঠির” প্রথম সম্পাদক বন্ধুবর শ্রীযুক্ত যোগানন্দ দাস। তিনি আমাকে বাংলা দেশের সুপরিচিত পাখীদের বর্ণনা লিখিতে অনুরোধ করেন। ইংরাজিতে যেমন “ইহা”, “ফ্র্যাঙ্ক ফিন” প্রভৃতি লেখক অবৈজ্ঞানিক সাধারণ পাঠকের বোধগম্য করিয়া পাখীর বর্ণনা লিখিয়াছেন, সেইরূপ রচনার জন্য যোগানন্দ বাবু অনুযোগ দেন। শ্রীযুক্ত সত্যচরণ লাহা মহাশয়কে সে কথা বলায় তিনিও উৎসাহ দেন। তখন আমি কয়েকটি পাখীর বর্ণনা লিখি। পরে “সোনার বাংলা” পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হয় এবং তৎসঙ্গে আমার লেখাও বন্ধ হয়। তাহার সাত আট বৎসর পর সুকবি শ্রীযুক্ত সাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের “উপাসনা” পত্রিকায় দুইটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তৎপরে “উপাসনা” যখন “বঙ্গশ্রী”তে রূপান্তরিত হইয়া শ্রীযুক্ত সজনীকান্ত দাসের