পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণাদি-বৰ্ণনা।

যে শাস্ত্রজ্ঞানে শুদ্ধৰূপ লিখন ও কথনের জ্ঞান জন্মে তাহার । নাম ব্যাকরণ বঙ্গভাষায় উনপঞ্চাশং অসংযুক্ত অক্ষর আছে, তন্মধ্যে ষোড়শ স্বর ও ত্রয়াস্ত্রংশৎ ব্যঞ্জন, যথা— স্বরবর্ণ । অ আ ই ঈ উ উ ঋ ঋ ৯ ৯ এ ঐ ও ঔ অং* অ । ব্যঞ্জন বা হলী অথবা হস বর্ণ । ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ এঃ । ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন · প ফ ব ভ ম য র ল ব শ ষ স হ । অক্ষর সকল পাচ স্থান হইতে উচ্চারিত হওয়াতে পাচ ভাগে বিভক্ত হইয়াছে, এবং ঐ প্রত্যেক ভাগের অক্ষর আপন উচ্চারণ স্থানের নামানুসারে নামিত হইয়াছে । আবার হ-ল বর্ণের মধ্যে প্রথম পঞ্চবিংশতি বর্ণ একস্থানত্ব অনুসারে বিন্যস্ত হওয়াতে পাচ শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ হইয়াছে ; ঐ শ্রেণির নাম

  • অং অঃ বাতিরিক্ত অন্য সকল অক্ষরের প্রত্যেকের উত্তর “ কার” যোগ করিলে ঐ অক্ষরের নাম সিন্ধ হয়, যথ —আ-কার, ই-কার, ক-কার, চ. ন.ার ইত্যাদি ।

† হকারের পর অার এক ল-কার থাক; কথিত আছে, এনিমিত্তে ব্যঞ্জন বর্ন সমূহকে হ-ল শব্দে ও প্রকাশ করা যায়। ককারাদি হকারান্ত ব্যঞ্জন বর্ণ সমূহকে হস বলার মূল এই যে কোন সংস্কৃত ব্যাকরণে সন্ধি আদির নিমিত্তে ব্যঞ্জন সকল হ-কারাদি স-কারান্তে বিন্যস্ত হইয়াছে :–ইহা এই ব্যাকরণে সন্ধি প্রকরণের প্রথম পৃষ্ঠ দস্টেই প্রকাশ পাইবে ॥