পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ.djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারক | ১৯৭ কিন্তু উক্ত শব্দসকল করণ ধাতু যোগে ব্যবহৃত হইলে তদ্ব্যাপ্য বস্তু বোধক শব্দ কৰ্ম্মকারকে অথবা প্রতি আদি শব্দ যোগে ব্যবহৃত হয়, যথা, তোমার কৰ্ত্তব্য যে ঈশ্বরকে বা ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধ কর, পিতামাতাকে ব| পিতামাতার প্রতি ভক্তি কর, সন্তানের প্রতি বা সন্তানকে "স্নেহ কর, দুঃখির উপর বা দুঃখিকে দয়া কর । উক্তরূপ শব্দযোগে বিকল্পে, ও বিশেষে রুচিবোধক শব্দ যোগে নিত্য, তদ্ব্যাপ্য পদার্থবোধক শব্দসকল অধিকরণরূপেও ব্যবহৃত হয়, যথা, তাহাতে অথবা তাহার উপর আমার ঘৃণা হইয়াছে, উহাতে কা উহার প্রতি আমার বড় স্নেহ । উহাতে বা উহার প্রতি আমার শ্রদ্ধা নাই।’ তোমার যদি উহাতে রুচি না হয় তবে অমৃতে অরুচি বলিতে হইবে। নির্ভর, ও অপর্ণার্থক শব্দ বা ক্রিয়াযোগে সৰ্ব্বদা তদ্ব্যাপ্য বিষয় বোধক শব্দ অধিকরণ রূপে অথবা উপর শব্দ যোগে ষষ্ঠ্যন্ত রূপে ব্যবহৃত হয়, যথা, তাহাতে বা তাহার উপর নির্ভর করিলেই প্রতুল হইয়াছিল। আমার সকল কৰ্ম্মের ভার উtহাতে তেঁহাকে) বার্তাহার উপর সমপর্ণ করিয়াছি। যে২ ধাতুযোগে ভদ্ব্যাপ্য অণধার বোধক শব্দ অধিকরণ রূপে ব্যবহৃত হয়, (১৯৪ পৃষ্ঠা দেখ), তন্মধ্যে অনেক ধাতু যোগে উক্তরূপ শব্দ উপর শব্দ যোগে ষষ্ঠ্যন্ত রূপেও ব্যবহৃত হয়, যথা, মাটিতে বা মাটির উপর রাখ। সে পাহাড়ে বা পাহাড়ের উপর কিছু হয় না বা জন্মেন। রাজ সিংহাসনে বা সিংহাসনের উপর উঠিলেন। আমার এক খান ঘুড়ি তোমাদের ছাতে বা ছাতের উপর পড়িয়াছে। শবদ সকলের যে২ স্থানে ও কারণে আর২ কারকীয়ৰূপে ব্যবহার দর্শান গিয়াছে তদ্ভিন্ন কারণে ও স্থানে ঐ সকলের ব্যবহার অধিকরণকপেই প্রায় হইয়া থাকে। সংস্কৃতে আধারকে চারি প্রকারে বিভাগ করিয়াছেন—অর্থাৎ, সামীপত, একদেশ, বিষয়, ও ব্যাপ্তি – , সামীপাধার—যথা, তিনি গঙ্গাতে বাস করেন—অর্থাৎ গঙ্গার সমীপে বাস করেন ॥ একদেশ-অাধার—যথা, এই বনে ব্যাঘ্ৰ আছে—অর্থাৎ এই বনের এক দেশে ৰ্যাঘ্র অাছে ॥ e বিষয়াধার, যথা—তিনি ক্রীড়াতে অপটু—‘অর্থাৎ ক্রীড়াবিষয়ে অপটু ৷ - ব্যপ্তাধার, যথা—শরীরেতে আত্মা আছেন—অর্থাৎ শরীর