পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bro বাঙ্গল-ব্যাকরণ । হওয়াতে সংস্কৃতের সহিত সংযুক্ত হয় না, যথা, সাৰ্দ্ধ চতুর্দশ বলাযায় কিন্তু সাদ্ধ চোঁদ বলা যায় না, তদ্রুপ সাড়ে চোঁদ বলা যায় কিন্তু সাড়ে চতুর্দশ বলাযায় না, এই রূপ অদ্ধ মুদ্র ও অাধুটাকা । আাধ বা অৰ্দ্ধ শব্দ গণাযায়ন এমত বস্তু বোধক শব্দের পূর্বেই প্রণয় প্রযুক্ত হয়, কিন্তু অৰ্দ্ধেক ভগবৎ প্রকার শব্দের পূৰ্ব্বেই প্রায় প্রযুক্ত হয়। বস্তুর সমুদয়কে ষোল অান শব্দে ব্যক্ত করা যায়, এবং তাহার এক চোটী চারি অণনা ; অদ্ধেক অণট অণনা, তেহাই (সামান্যতঃ) পাচ আন। পৌনে সাত গণ্ড, তিন চোটী বার অর্ণনা, ষোল ভাগের ভাগ এক অণনা, এই রূপ ভাগের পরিমাণক্রমে তস্কার ভাগ ব্যবহার করা যায় । কোন সংখ্যাবাচক শব্দ দ্বিরুক্ত ই চলে ঐ সংখ্যার দ্বিগুণ বোধক নাহইয়৷ তদতিরেকে কোন স্থলে প্রতি শব্দের অর্থবোধক কয় ১, এবং -কোন স্থলে কেবল সেই সংখ্যা প্রকাশক হয় ২, যথা, দশই জনকে এক২ মোহর দেও ১ । কি সেই ক্ষুদ্র কম্মে দুশ২ জন লোক লাগাইলে তথাপি তাহা সারা হইল ন৷ ২ ৷ সংস্কৃত সংখ্যাবাচক শব্দে ধ যোগ করিলে ঐ শব্দ দ্বার। বোধ্য যত সংখ্যা তত প্রকার ঐ সংপূক্ত শব্দ দ্বারা বোধ হয়, যথা, ত্রিধা, বহুধ । সচরাচর (কি বাঙ্গল কি সংস্কৃত) সংখ্যাবাচক শব্দের পর গুণ শব্দ যোগ করিয়; ঐ শব্দ দ্বারা লোধ্য যত সংখ্যা তত গুণ প্রকাশ করাযায়, যথা, দ্বিগুণ বা দুই গুণ, ইত্যাদি। কোন পরিমিত বস্তু, বা কোন সংখ্যক মুদ্র, কোন ক্ষুদ্রণংশে স্থান হইলে সামণস্যতঃ ঐ স্থানাংশ উল্লেখ পুৰ্ব্বক তৎপরিমিত বস্তু বা তৎসংখ্যক মুদ্রণ প্রকাশ করাযায়, যথা, পাইকম এক টাকা, আন ঘাইট তিন টাকা, বুড়ি ঘাইট পাচ পণ, ছটাক কম পাচ শের। সংখ্যণবাচক বিশেষণের বিশেষ্য প্রকাশিত না থাকিলে ঐ ট্রহ বিশেয্যে }প্রযুজ্য টা অাদির যে প্রত্যয় তাই ঐ বিশেষণে প্রযুক্ত হয়, যথা, কয় খান বাস চাও—এই প্রশ্নের উত্তরে কুড়ি খান চাই বলা যাইতে পারে। ভাববাচক শবদ । যে শব্দ দ্বারা কোন পদার্থের ভাব প্রকাশ হয়, তাহার নাম ভাববাচক । * م -- গুণবাচক বিশেষণ এবং অধিকাংশ বিশেষ্য শব্দেরি প্রায়