পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
২১৫

ছন্দঃ।

 অক্ষর বিন্যাসের পরিমাণকে ছন্দঃ কহে। ছন্দই কবিতার প্রধান অঙ্গ। ঐ অঙ্গের অসৌষ্ঠব হইলে কবিতা মনোহর হয় না।

 ছন্দে গ্রথিত পদ সমূহকে এক এক পদ বা চরণ বলে। ঐরূপ চারি চরণে এক একটি শ্লোক বা কবিতা হয়। কিন্তু বাঙ্গলা কবিতা সকল দ্বিপদী চৌপদী ও বহুপদীও হইয়া থাকে।

 ছন্দঃ প্রথমতঃ প্রধান দুইভাগে বিভক্ত। অক্ষরাবৃত্তি ও মাত্রাবৃত্তি।

 ছন্দে অক্ষরের সম সংখ্যা থাকিলে অক্ষরাবৃত্তি হয়। যথা; “পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল। কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।” এখানে দুই চরণেই অক্ষরের সংখ্যা সমান, অতএব অক্ষরাবৃত্তি।

 মাত্রার[১] সম সংখ্যা থাকিলে মাত্রাবৃত্তি হয়। যথা;


  1. হ্রস্ব স্বরে একমাত্রা ও দীর্ঘস্বরে দুই মাত্রা গণিত হয়। আর যুক্তাক্ষরের পূর্ব্ব বর্ণ এবং অনুস্বার ও বিসর্গান্ত বর্ণ দ্বিমাত্র হয়। আর চরণের শেষবর্ণ কখন একমাত্র কখন বা দ্বিমাত্র হয়। একমাত্র বর্ণ লঘু ও দ্বিমাত্র বর্ণ গুরু হয়।