পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল-কবিকঙ্কণ চণ্ডী। ১ e৯ ব্যঞ্জন নাদিয়া কিছু কম দিলে ভাল হইত। খুল্পনা, অতবড় ধনবান লোকেরপত্নী হইয়াও যে, গুণ চট পরিয়া একাকিনী বনে বনে ছাগল চরাইয় বেড়াইল,—জ্ঞাতিবন্ধু কেহ আ বস্থার সংবাদ পাইয়াও তত্ত্ব লইলন —ইহা বড় বিসদৃশ কাৰ্য্য হইয়াছে। যখন খুল্লনার বয়স্ ১২।১৩ বৎসর বৈ নহে, যখন সে কখনও পতিসহবাস করেনাই, যখন তাহার রজোযোগপৰ্য্যন্ত হয়নাই, তখনও তাহার বিদেশাগতপতির শয়নগৃহে যাইবার জন্য দিবাভাগহইতে অত ব্যগ্রতাপ্রকাশকরা— যাইবার সময়ে সপত্নীর সহিত নির্লজ্জতাসহকারে অত বান্ধিতগু করা,নিদ্রিতপতিকে মৃতবোধ করিয়া অভ্যাজুলীর স্থায় ক্রন্দন করিতে বসা, স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া পতির সহিত পাশক্রীড়া করিতে চাহা—এ সকলগুলাই যেন কেমন কেমন লাগে । তদ্ভিন্ন দ্বাদশবর্ষমাত্রবয়স্ক শ্ৰীমন্তের সিংহলে গমন এবং তথায় বিবাহের পর শালী শালাজ প্রভৃতির সহিত সেই সেই রূপ কথাকাটাকাটি, তাদৃশ বালকের পক্ষে সঙ্গত হয়না । কবিকঙ্কণের রচনা প্রগাঢ় রসাবির্ভাবক ভাবপূর্ণ ও সুমধুর হইলেও কৃত্তিবাসের রচনার ন্যায় আদ্যোপান্ত প্রাঞ্জল ও স্থখবোধ্য নহে। ইহার স্থানে স্থানে অনেক দুরূহ ংস্কৃত শব্দের প্রয়োগ আছে। তদ্ভিন্ন কবির স্বদেশপ্রচলিত ভূরিভূরি এত অপভ্রংশশব্দের ব্যবহার অাছে, যাহাঁদের অর্থ—এবং যাহাদের সংযোগ থাকাতে, সেই সেই বাক্যের