পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ বাঙ্গালা সাহিত্য । “ডাস্থিলে ললিতপুর বাছিল ইন্দ্রাণী । ইশ্রেশ্বর পূজা কৈল দিয়া ফুলপানি” । ( ২ ) “পছন। খুল্লম কাছে মাগিল মেলানি । বাছিয়। অজয় নদী পাইল ইন্দ্রাণী” । ( s ) ইহার প্রথম শ্লোকে ‘মণ্ডনহাট’ নামক স্থানের যে উল্লেখ আছে,—মুদ্রিতপুস্তকে ঐ শব্দ “মণ্ডলঘাট” করিয়া ফেলিয়াছে। মণ্ডলঘাট হুগলীজেলার মধ্যে, সুতরাং তৎসমিছিত ইন্দ্রাণী অবশ্যই হুগলীজেলার মধ্যগত হইবে—এই ধোধেই কয়েকমহাশয়, কাশীরামের বাট হুগলীজেলায় ছিল, ইহা লিখিয়াছেন। কিন্তু বস্তুগত্য তাহা নহে—যে হেতু কবিকঙ্কণের লিখিত চণ্ডীর পাঠ মণ্ডলঘাট’ নহে মগুনহাট’ ঐ মণ্ডনহাট ইন্দ্রাণীপরগণার মধ্যেই কাটোয়ার কিঞ্চিৎ দক্ষিণে দেখিতে পাওয়াযায়। ঐ স্থানের সন্নিধানে ঘোষহাট, একাইহাট, বিকিহাট, পেৎনীহাট, উঁইহাট প্রভৃতি হাটশদান্ত ১৩টা গ্রাম আছে। অতএব কবিকঙ্কণের কয়েকস্থানে উল্লিখিত ‘ইন্দ্রাণী বৰ্দ্ধমানজেলাস্থ ঐ ইন্দ্রাণীকেই লক্ষ্য করিয়া লিখিত, তাহাতে সংশয় নাই। কাশীরাম পরিচয়দানস্থলে “ইন্দ্রাণী নামেতে দেশ” বলিয়াছেন,ইন্দ্রাণী গ্রাম বলেন নাই; সুতরাং তদ্বারা ইন্দ্রাণীপরগণাই বুঝাইতেছে। তদ্ভিন্ন ঐস্থানে বারদুয়ারির ঘাট, গণেশমহাতার ঘাট,পীরের ঘাট প্রভৃতি গঙ্গার ধারে ধারে বারটা বাঁধাঘাট এবং ইন্দ্রেশ্বরনামক শিবস্থানের চিহ্ন অদ্যাপি বর্তমান আছে। এই বিষয়ে তত্ৰত্য লোকদিগের মধ্যে একটা কথাও আছে যথা—