পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>રના বাঙ্গাল সাহিত্য: | স্থানেই তিনি ভুরিভুরি বিষয়ের পরিবর্জন ও ভূরি ভূরি বিষয়ের মূর্তমরূপ যোজনা করিয়াছেন। ইহার উদাহরণ দিবার প্রয়োজন নাই। মূল ও ভাষা মহাভারতের যে কোন স্থান খুলিয়া পাঠকবর্গ ইচ্ছা করিলেই মিলাইয়া দেথিতে পরিবেন । তদ্ভিন্ন কোন কোন উপাখ্যান একেবারে নূতনসঙ্কলিতও হইয়াছে। বনপর্বের মধ্যে শ্ৰীবৎসোপাখ্যান নামে যে একটা বৃহৎ উপাখ্যান আছে, তাহ মূল সংস্কৃতে একেবারে নাই। অনেকে অনুমান করেন যে, উছ কাশীরামের স্বকপোলকল্পিত । কিন্তু যখন কবিকঙ্কণের চতীতেও খুল্লনার পরীক্ষাদানাবসরে— “ কাঠুরে সহিত ছিল সতী চিন্তানারী” এই কথার উটঙ্কন আছে, তখন আমাদের অনুমান হয় যে, ঐ উপাখ্যান কোন পৌরাণিকমুল হইতেই হউক বা অন্তরূপেই হউক দেশমধ্যে প্রথিত ছিল; কবি তাহাকেই হৃষ্টপুষ্ট করিয়৷ নিজগ্রন্থমধ্যে নিবেশিত করিয়াছেন। এই সকল বিবেচনা করিয়া বোধহয়, কৃত্তিবাসের ন্তায় কাশীরামদাসও কখকের মুখে মহাভারত শ্রবণ করিয়া এই রচনা করিয়াছেন। যেহেতু তিনিনিজেই কয়েকস্থলে লিখিয়াছেন— শ্রতমাত্ৰ কহি আমি রচিয় পয়ার। অবহেলে শুন তাহ সকল সংসার। যাহাহউক কাশীরামের সংস্কৃত জানা না থাকিলেও তাহার রচনা অসংস্কৃতঙ্গের রচনার স্যায় বোধহয়না। ঐ রচনাতে এরূপ সংস্কৃত শব্দ সকল প্রযুক্ত আছে যে, তাহ সংস্কৃত নভিজ্ঞ লোকের লেখনী হইতে নির্গত হওয়া সহজকথা নহে।