পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামেশ্বরের শিবসঙ্কীৰ্ত্তম । >8ペ) চঞ্চল চরণে হৈল চণ্ডীর চলন। গোড়াইল গিরীশ গৌরীর পিছু পিছু। শিব ডাকে শশিমুখী শুনে নাই কিছু ॥ নিদান দাৰুণ দিব্য দিলে দেবরায় । অণর গেলে অম্বিক। আমার মাথা খণ্ড ৷ করে কৰ্ণ চাপিয়া চলিল চগুৰতী ভাখিল ভাইএর কিরা ভৰান্ধীর প্রতি ॥ ধাইয়া ধূর্জটি গিয়া ধরে দুটা ছাতে। অাড় হইয় পশুপতি পড়িলেন পথে । ষাও যাও যত ভাব জানগেল বলি। ঠেলিয়া ঠাকুরে ঠাকুরাণী গেলা চলি। চমৎকার চন্দ্রচূড় চারিদিকে চায়। নিবারিতে নারিয়! নারদপাশে ধায়। রামেশ্বর ভাবে ঋষি দেখ ৰসে কি। পাখারে ফেলিয়া গেল পৰ্ব্বতের বী। - + হিমালয় হইতে হরপার্বতীর প্রত্যাগমন । ঘর যেতে হর চায়, গৌরীগিয়া কহে মায়, শুনি রাণী শোকে অচেতন। রাম বনবাস জানি, যেমন কৌশল্য। রাণী, কাকুস্বরে করেন রোদন। সুখময়ী রাজকন্যা, ভিক্ষুগৃহে দুঃখগণ্য, কেমনে বঞ্চিবে তুমি তায় । এই দুঃখে আমি সার, পরাণ পুতুলী তারা, কেমনে ছাড়িয়া যাবে মায়। পাইনু পরম মুখ, পাসরিছি সব দুখ, নিরথিয় ভূয়। মুখ চাদে । তোমারে বিদায় দিয়া, কেমনে ধরিব ছিয়া, মনের সছিত প্রাণ র্কাদে। বসাইয়। বরাসনে, পালিব পরাণ পণে, মোর ঘরে থাক চিরকাল । আমি যত দিন জীব, আর না পাঠাএদিব, ফলস্তরে ভাঙ্গে নাছি ডাল। ননীর পুতলী ছিল, জ্বলন্ত অনলে দিল, বাপ দিল কি করিবে মায়। আমি অভাগিনী নারী,সকল খণ্ডাতে পারি, কপাল খণ্ডন নাছি যায় ॥ গৌরীর গলায় ধরে, বিস্তর বিলাপ করে, জননী কঁাদিয়া মোহ যায়। মুছিয়। বদনথানি, বলিয়। মধুর বাণী, পাৰ্ব্বতী প্রবোধ করে মায়। অদ্যাপি অনেক ভিক্ষুকে যে,ডম্বুরুবাদনপূর্বক ভগবতীর শঙ্খপরিধানের বৃত্তান্ত গান করিয়া ভিক্ষা করে,বোধহয়, এই শিবসঙ্কীৰ্ত্তনই সেই সকল গানের মূল। অনেক স্থলে অবিকল এই গ্রন্থের পদ্যই আবৃত্তি করিতে শোনাযায়। শিবসঙ্কীৰ্ত্তনের ভাষা যেরূপ প্রদর্শিত হইল, তদন্টে সকলেই বুঝিতে পরিবেন যে, গ্রন্থকার বিলক্ষণ সংস্কৃতজ্ঞ ছিলেন। সংস্কৃত