পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যকাল—কবিরঞ্জনবিদ্যাসুন্দর। ➢ ፅ (: ১৬৭৪শকে সমাপ্ত হইয়াছে, একথা তদ্‌গ্রন্থেই উল্লিখিত আছে; মৃতরাং কবিরঞ্জন ১৬৭•৭২শকে রচিত হইয়াছে, অনুমান করাযাইতেপারে। এস্থলে কেহ কেহ বিপরীত অনুমানও করিয়াথাকেন–র্তাহাদের বোধে কবিরঞ্জনবিদ্যাসুন্দর অন্নদামঙ্গলের পর। কিন্তু একথা কোনরূপেই সঙ্গত বলিয়াবোধহয়না । যেহেতু অন্নদামঙ্গলের অন্তর্গত বিদ্যাস্কন্দরের রচনা, কবিরঞ্জনবিদ্যাসুন্দরের রচনা অপেক্ষা অনেক মধুর, অনেক চতুর্য্যসম্পন্ন ও অনেক উৎকৃষ্ট । অতএব তাহ বিদ্যমান দেখিয়াও কবিরঞ্জনরচনা করা প্রবহমাণ নদীসন্নিধানে সরোবরখননের ন্যায় নিতান্ত অবিজ্ঞের কাৰ্য্য হয়। প্রধানকবি রামপ্রসাদ তত অবিবেচক ও অসহৃদয় ছিলেন, ইহা সম্ভবহয়না । বরং এইরূপ সম্ভব যে, রামপ্রসাদ বিদ্যাসুন্দর রচনাকরিয়া রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে প্রদান করিলে তিনি উহা পাঠকরিয়া পরমপরিতুষ্ট হয়েন ; কিন্তু উহাকে আরও বিশোধিত ও সুমধুর করিবার অভিপ্রায়ে স্বীয় সভাসদ ভারতচন্দ্ররায়গুণাকরের হস্তে সমর্পণ করেন । রায়গুণাকর উহা বিশোধিত না করিয়া ঐ মনোরম উপাখ্যানকে অস্থিস্বরূপ অবলম্বনপূর্বক মাংসাদিযোজনা করিয়া নিজে এক বিদ্যাসুন্দর লেখেন এবং তাহ কৌশলক্রমে অন্নদামঙ্গলের অন্তর্নিবিষ্ট করিয়াদেন এবং রচনাযুখে উপাখ্যানাংশেও যৎকিঞ্চিৎ পরিবর্তকরেন 4 , সে পরিবর্ত প্রধানতঃ এই—কবিরঞ্জনের হীরামালিনী, বিদ্যা ও সুন্দরের