মধ্যকাল—কবিরঞ্জনবিদ্যাসুন্দর। لأن لا “কাল কর পৃথক চিন্ত হে মনে এই । লকারে ঈকার দীর্ঘ আসি বটে সেই ।” “যৌবনজলধিমধে মগ্ন মত্তগজ । উরে দৃষ্ট কুম্ভস্থল নহে সে উরজ ॥” “উথলে বিরস্থসিন্ধু ভঙ্গে শান্তিসেতু । মনোমীন ধরিল ধীবরমীমকেতু।” “কান্তাকুচে জ্বলদল্পি বিচাৱিয় কবি করপদ্মে করে ছোম স্বেছ করি ছবি।” । “ভূতলে অtছাড়ে গা, কপালে কঙ্কণ ঘা, বিন্দু২ বছে পড়ে রক্ত । তাছে শোভা চমৎকার, অশোক কিংশুক ছার, গাথা চান্দে দিল যেন ভক্ত ৷” “কোন ধৰ্ম্ম, হেন কৰ্ম্ম, পেড়ে মৰ্ম্ম, গাত্ৰচৰ্ম্ম, দিয়া দিব পাছক চরণে। হৃদয়েশ, এই বেশ, পায় ক্লেশ, রুপালেশ, কর ভাই অকাঙ্গ মরণে ||” এইরূপ ভূরি ভূরি স্থলে তিনি যে, কতই ভাবুকত প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার ইয়ত্ত নাই । স্থানেস্থানে তাহার স্বভাবোক্তিবর্ণন যে, কিরূপ সুমধুর হইয়াছে, তাহ বলাযায়ন । ইহঁর রচনায় “বিদ্যা মর লে কলঙ্কিনী বী।” ইত্যাদি রূপ, ২ । ১ট ধুয়াও আছে । বিদ্যাপতির রচনার স্থায় ‘কৈসন’ ‘ যৈসন ? ইত্যাদি হিন্দিশবদমিশ্রিত এবং মাধবভাট প্রভৃতির উক্তিতে শুদ্ধহিন্দিগ্রথিত বর্ণনাও অনেক দেখিতেপাওয়াযায়। ইতিপূর্বে রামেশ্বরের যে শিবসঙ্কীর্তনের বিষয় উল্লিখিত হইয়াছে, তাহার রচনায় যেরূপ অনুপ্রাস-চ্ছটা লক্ষিত হয়, ইহার রচনায়ও প্রায় সেইরূপ । উদাহরণস্বরূপ নিম্নভাগে কয়েকটা লিখিত হইল— “ডুবিল কুরঙ্গশিশু মুখেজুশোভায় । লুগু গণত্র তত্ৰ মাত্র নেত্র দৃশ্য হয়।” “সিংহাসনে নরসিংছ বীরসিংহ রায় । তগু-তপনীয়তন্তু তারাপতি প্রায় ।” “নহে সুখী ক্ষমুখী নিরধি নন্দিনীয়ে । আসম্বর অম্বর, অম্বর পড়ে শিরে ।” “শিরে হানি পাণি বাণী বঙ্গে কব কি ! শুন পৰ্ব্ব গৰ্ব্ব খৰ্ব্ব গভবতী রী।” ইত্যাদি—
- >
