পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>。 লাঙ্গালী ভাষা | সৰ্ব্বাংশে অবিকল একরূপ । অর্থাৎ—ঐ দুই ভাষায়, কারক, বিভক্তি, ক্রিয়া, রচনাপ্রণালী প্রভৃতির কিছুমাত্র বৈলক্ষণ্য নাই, কেবল স্থানে স্থানে শব্দবিশেষের বর্ণগত কিছু কিছু বৈলক্ষণ্য দৃষ্টহয়। যথা প্রতিকূলঃ= পড়িউলঃ; রাজা=রাজা ; চন্দ্রম্=চন্দম্ ভবন্তি=হোন্তি ইত্যাদি— হেমচন্দ্র নামক প্রাচীনপণ্ডিত প্রাকৃত শব্দের এই অর্থ করেন— প্রকৃতিঃ সংস্কৃতম্ তত্র ভবং তত আগতং বা প্রাকৃতং সংস্কৃত: মুলকমিতার্থঃ । ‘ সংস্কৃত প্রকৃতি অর্থাৎ মূল, তাহা হইতে উৎপন্ন এই অর্থে প্রাকৃত—অর্থাৎ সংস্কৃতমূলক ’ । কিন্তু এ অর্থ আমাদিগের তাদৃশ প্রীতিকর বোধ হয় না। আমাদের বোধ হয়, সংস্কৃত শব্দের অর্থ বিশুদ্ধ ( Refined ) এবং প্রাকৃত শব্দের অর্থ সাধারণ ( Common ) সংস্কৃত কোন সময়ে স্থল বিশেষে চলিতভাষা ছিল, যদি এরূপ স্থির করামায়, তাহ। হইলে ইহাও স্থির করিতেহইবে—উহা কেবল কৃতবিদ্য পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যেই আবদ্ধ ছিল—প্রাকৃত অর্থাৎ সাধারণ লোকে উহার সম্যক উচ্চারণাদি করিতে পারিত না । প্রাকৃতলোকের ঐ সংস্কৃতকে অপভ্রংশিত করিয়া যে ভাষা ব্যবহার করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, তাহাই ‘প্রাকৃত ভাষা’ নামে এক ভাষা হইয়া গিয়াছে। কৃতবিদ্য ও সাধারণ লোকদিগের ভাষা যে অনেকাংশে