পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b・ বাঙ্গীলা ভাষা । হয় কেবল প্রাকৃতই বর্তমান বাঙ্গালার উপাদান নহে। দেশভেদে ভাষাভেদ হইয় থাকে, আমাদের শাস্ত্রকারেরাও সে কথা কহিয়াথাকেন যথা— * , ৰণচেষত্র বিভিদ্যস্তুে গিরির্ব ব্যবস্থায়কঃ । মহানদ্যস্তরং যত্র তদেশান্তর মুচ্যতে। উদ্ধাহতত্ত্বপ্নত রহম্মনুবচন। “যেদেশে ভাষার বিভিন্নত হয়—গিরি বা মহানদী tাহাতে ব্যবধান থাকে, তাহাকে দেশান্তর কহ যায় । ” সুতরাং যৎকালে বঙ্গদেশে কোনরূপ প্রাকৃতভাষা আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল, বোধহয় তৎকালে এদেশের জনসাধারণের ব্যবহারার্থ কোন এক আদিম ভাষা ছিল । সেই ভাষার সহিত প্রাকৃতভাষার সর্বতোভাবে মিশ্রণ হইয়া এই বাঙ্গালাভাষার স্বষ্টি হইয়াছে। অদ্যাপি এই ভাষায় টেকি, কুলা, ধুচনি প্রভৃতি এমত কতকগুলি শব্দ পাওয়া যায় যে, তাহারা না প্রাকৃত, ন সংস্কৃত, না পারসী, না আরবী । তদ্ভিন্ন বাঙ্গালার ক্রিয় কারক বিভক্তি প্রভৃতি এপ্রকার ভিন্নরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে যে, ইহাকে কোন মতেই কেবল প্রাকৃত হইতে উদ্ভূত, একথা বলিতে পারা যায় না—অবশ্যই ভাষান্তরসহকৃত প্রাকৃত হইতে উৎপন্ন হইয়াছে তাহ স্বীকারকরিতে হয়। এক ভাষা হইতে কিরূপে ও কি প্রণালীতে ভাষান্তরের স্বষ্টি হয়, তাহ নিরূপণ করিবার উৎকৃষ্ট উপায় প্রাচীন গ্রন্থ। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বাঙ্গালার খুব প্রাচীন গ্রন্থ একখানিও পাওয়া