পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদ্যকাল । 8& বর্ণের বিশ্লেষকরণরূপ বিপ্রকর্ষণকাৰ্য্য আধুনিকপদ্যেও অনেক আছে বটে, কিন্তু প্রাচীনপদ্যে ঐ কার্ষ্যের অত্যন্ত আধিক্য অনুভূত হয়। সেই বিপ্রকর্ষণকাৰ্য্য এইরূপ-- মূৰ্ত্তি= সূরতি, নিৰ্ম্মল=নিরমল, নিৰ্ব্বাহ=নিরবাহ, ধৰ্ম্ম= ধরম, কৰ্ম্ম = করম, প্রমাণ =পরমাণ, লক্ষী =লছিমা, ভস্ম =ভসম, প্রীতি=পিরীতি, দর্শন=দরশন, তৃপ্ত = তিরপিত, স্পর্শ = পরস, ভ্রম = ভরম, প্রসঙ্গ = পরসঙ্গ, দ্রবে=দরবয়ে, ব্যক্ত=বুেকত ইত্যাদি। এস্থলে আর একটা বিষয়ের উল্লেখ করা আবশ্বক বোধ হইতেছে—আদ্যকালে ষ কে লোকে অনেকস্থলে খ বলিয়া উচ্চারণকরিত, যথা—পুরুষ = পুরুখ, ঋষভ=ঋখভইত্যাদি। হিন্দিতে অদ্যাপি এইরূপ ব্যবহার আছে । ছন্দ—আদ্যকালের যে সকল পদ্যরচনা দেখাযায়, তাহাতে পয়ার ও ত্রিপদী এই দুইটামাত্র ছন্দ দৃষ্টহয়। এক্ষণকার চলিত পয়ারের নিয়ম এই যে, উহার ছুইটী সমান অংশ থাকে। তাহার প্রথম অংশটাকে পূৰ্ব্বাৰ্দ্ধ ও শেষটকে পরাদ্ধ কহে। পূৰ্ব্বাদ্ধের উপান্তিম ও অন্তিম বর্ণ যাহা হইবে, পরাদ্ধের ঐ ঐ বর্ণও অবিকল তাহাই হওয়া চাই । তদ্ভিন্ন প্রত্যেক অদ্ধেরই ৮ম ও ১৪ শ অক্ষরে যতি—অর্থাৎ বিরাম থাকা আবশ্ব)ক । ত্রিপদীতেও দুইটী অৰ্দ্ধ থাকে, প্রত্যেক অৰ্দ্ধে বিংশতিটা করিয়া অক্ষর ; উভয় অৰ্দ্ধের শেষবৰ্ণে পয়ারের ন্যায় মিল, প্রত্যেক ।