পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& R বাঙ্গালা সাহিত্য । লীলাচলে (জগন্নাথক্ষেত্রে ) তিরোভূত হয়েন। মৃতবৎসা মাতার পুত্র বলিয়া নারীগণ প্রথমে ইহঁাকে 'নিমাই’ এবং অত্যুজ্জ্বলগেীরকান্তি বলিয়া কেহ২ ‘গৌরাঙ্গ’ বলিয়াও ডাকিত । অন্নপ্রাশনের সময়ে ইহঁার নাম ‘বিশ্বম্ভর’ হয়; পরে পঞ্চবিংশ বৎসর বয়ঃক্রমকালে, বিষয়বাসনাবিসর্জনপূর্বক সন্ন্যাসধৰ্ম্ম অবলম্বন করিবার সময়ে স্ত্রীকৃষ্ণচৈতন্য’ এই তাহার নূতন নামকরণ হইয়াছিল। ইনি অলৌকিকবুদ্ধিশক্তিসম্পন্ন বলিয়া অতি অল্পকালমধ্যেই ব্যাকরণ সাহিত্য অলঙ্কার পুরাণ ন্যায় স্মৃতি বৈদান্ত প্রভৃতি নানাশাস্ত্রে পরম প্রাবণ্যলাভ করেন, এবং বৃহন্নারদীয় পুরাণলিখিত— হরে নাম হরে নাম হরে নামৈব কেবলং । কলে নাস্তোব নাস্ত্যেৰ নাস্তোব গতি রনাথ। এই বচন প্রধানতঃ অবলম্বন করিয়া কলিতে হরিনামোচ্চা রণ, হরিনামসঙ্কীৰ্ত্তন ও হরিভক্তি ভিন্ন জীবের পরিত্রাণ পাইবার উপায়ান্তর নাই, এই মত প্রচারকরিয়া নিতানন্দ, অদ্বৈত, মাধব, হরিদাস, রূপ, সনাতন প্রভৃতি বহুসঙ্খ্যক স্বগণ ও স্বসহচর সমভিব্যাহারে মৃদঙ্গের সহিত তানলয়বিশুদ্ধ স্বরসংযোগে হরিনামসঙ্কীর্তনের প্রথা প্রবর্তিত করেন। তাহার লোকাতীত রূপলাবণ্য ও অসাধারণ বিদ্যাবুদ্ধ্যাদিসন্দর্শনে পূৰ্ব্বহইতেই তাহাকে কৃষ্ণের অবতার ব: লিয়া কতক লোকের বোধহইয়াছিল। এক্ষণে আবার তাহার ধৰ্ম্মবিষয়ে নূতনপ্রকার মতের উদ্ভাবন ও সঙ্কীর্তন সময়ে