পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'& বাঙ্গালা সাহিত্য । ন্যমঙ্গলের বহুবার উল্লেখ করিয়াছেন, এবং উহাকেই প্রধানতঃ অবলম্ব করিয়া তাহার চরিতামৃত লিখিত হই বৃন্দাবলদাসের পরিচয়প্রদানে যাহা লিথিয়াছেন, তন্দ্বার এই জানাযায় যে, চৈতন্যের সহচর ও শিষ্য কুমারহট্ৰবাসী শ্ৰীনিবাসপণ্ডিতের নারায়ণীনাস্ত্রী এক কন্যা ছিলেন । পণ্ডিত, বোধহয় কোনকাৰ্য্যবশতঃ নবদ্বীপেই অবস্থিতি করিতেন । তাহার গৃহে চৈতন্যদেবের কীৰ্ত্তন এবং ভোজন হইলে পর, নারায়ণী তাহাদের উচ্ছিষ্ট ভোজনকরিয়া চতুবর্ষ বয়ঃক্রমকালেও কৃষ্ণপ্রেমে মগ্ন হওয়াতে চৈতন্যের বড় স্নেহাস্পদ হইয়াছিলেন । বৃন্দাবনদাস ঐ নারায়ণীর গর্ভজাত । এই বিবরণ দ্বারা ইহা এক প্রকার স্থির হইতেছে যে, বৃন্দাবনদাস চৈতন্যের জীবনকালে জন্মগ্রহণ করিয়া থাকিবেন, কিন্তু চৈতন্যের তিরোধানের পর গ্রস্থাদি রচনাকরিয়াছেন । কারণ চৈতন্যের সন্ন্যাসাবলম্বনের সময়ে অর্থাৎ যখন র্তাহার বয়স ২৪ ৷ ২৫ বৎসর তখন, নারায়ণী ৪ বৎসরের ছিলেন—তৎপরে ১২ বৎসরের মধ্যে র্তাহার সন্তান হওয়া এবং বৃন্দাবনকেই প্রথম পুত্র বলিয়া, ধরিয়ালইলেও চৈতন্যের অন্তর্ধানসময়ে বৃন্দাবনের বয়ঃক্রম ১২ বৎসরের অধিক হয়না। তৎকালে গ্রন্থরচনা সম্ভব নহে । অতএব চৈতন্যতিরোধানের ১৫ । ১৬ বৎসন্ন পরে অর্থাৎ অনুমান ১৪৭০ শকে-( খ্ৰীঃ১৫৪৮ অব্দে ) বৃন্দাবনের গ্রন্থ চৈতন্যমঙ্গল রচিত হইয়া থাকিবে ।