পাতা:বাঙ্গালাভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব - প্রথম ভাগ.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-br বাঙ্গ লা সাহিত্য । fছলেন সন্নিকটে । অামার সে রাজলক্ষী নিল কোন জুনে । কৈকয়ীর মনোহভীষ্ট সিদ্ধ এত দিনে । সৌদামিনী যেমন লুকায় জলধরে । লুকাইল তেমন জানকী বনস্তরে। কমল লতার প্রায় জনক দুস্থিত। বনে ছিল কে করিল তারে উৎপাটিত । দিবাকর নিশাকর দীপ তারাগণ । দিবানিশি করিতেছে তমোনিবারণ । তার না হরিতে পরে তিমির আমার। এক সীত। বিছনে সকলই অন্ধকার । দশদিক শূন্য দেখি সীতার অভাবে সীতাবিনা অন্য কিছু হৃদয়ে কে ভাবে । সীতাধ্যান সীতাজ্ঞান সীতা চিন্তামণি সীতা বিন! আমি যেন মণিহার। ফণী ॥ দেখরে লক্ষণভাই কঁর অন্বেষণ । সীতারে আনিয়। দেহ বাচাও জীবন । আমি জানি পঞ্চবটী তুমি পুণ্যস্থান । সেই সে এখানে করিলাম অবস্থান । তাছার উচিত ফল দিলেছে আমারে। শূন্য দেখি তপোবন সীতা নাই ঘরে। শুন পশু মৃগ পক্ষী শুন বৃক্ষ লতা। কে হরিল আমার সে চন্দ্রমুখী সীতা । ইত্যাদি কৃত্তিবাসের সময়ে অথবা তাহার পূর্বেই বোধহয় দেশমধ্যে ( পঞ্চালী ) পাঁচালি নামক গীতের সৃষ্টি হইয়াছিল। লোকে মঙ্গলচণ্ডী, বিষহরী, সত্যনারায়ণ প্রভৃতির পাঁচালী বাদ্য ও স্বর সংযোগে গানকরিতে আরম্ভ করিয়াছিল । । কৃত্তিবাস সেইরূপ পাঁচালীর অনুকরণেই ভাষারামায়ণের রচনা করিয়াছেন । তিনি সৰ্ব্বদাই আপনার রচনাকে গীত, পাঁচালী ও নাচাড়ী বলিয়া উল্লেখকরিয়াছেন । নাচাড়ী শব্দটা বোধহয় পাঁচালীরই অপভ্রংশ হইবে । কিন্তু প্রাচীন হস্তলিখিতপুস্তকে দেখাযায়, ত্রিপদীস্থলেই নাচাড়ী শব্দ প্রযুক্ত হইয়াছে। যাহাহউক বোধহয়, গীতের অনুরোধেই তাহার রচিত শ্লোকগুলিতে অক্ষরগণনার ও যতির নিয়ম তত অনুস্থত হয়নাই। ইদানীন্তনকালীন দাশরথি রায় প্রভৃতির রচিত পাচালীর ন্যায় উহাতেও ঐ নিয়মের