ছিলেন; আর কলিকাতায় ইঙ্গরেজদিগের যত ইউরেপীয় সৈন্য ছিল, চন্দননগরে ফরাসিদের তদপেক্ষায় দশগুণ অধিক থাকে। অতএব কলিকতাবাসি ইঙ্গারেজের আপনাদিগের দুর্গ সংস্কার করিতে আরম্ভ করিলেন। এই ব্যাপার অনতিবিলম্বেই অল্পবয়স্ক উগ্রস্বভাব নবাবের কর্ণগোচর হইল। ইঙ্গরেজদিগের উপর তার যৎপরোনাস্তি দ্বেয ছিল; অতএব তিনি ভয়প্রদর্শন পূর্বক ড্রেক সাহেবকে এই পত্র লিখিলেন, আপনি নুতন দুর্গ নির্ম্মাণ করিতে পাইবেন না; বরং পুরাতন যাহা আছে, ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন; এবং অবিলম্বে কৃষ্ণদাসকে আমার লোকের হস্তে সমর্পণ করিবেন।
আলিবর্দ্দির মৃত্যুর দুই এক মাস পূর্ব্ব, সিরাজউদ্দৌলার দ্বিতীয় পিতৃব্য সায়দ আহমদের পরলোক প্রাপ্তি হয়। তিনি আপন পুত্র সকতজঙ্গকে স্বীয় সমস্ত সৈন্য, সম্পত্তি ও পূর্ণিয়ার রাজত্বের অধিকারী করিয়া যান। তদনুসারে, সকতজঙ্গ, সিরাজউদ্দৌলার সুবাদার হইবার কিঞ্চিৎ পূর্ব্ব, রাজ্যশাসনে প্রবৃত্ত হয়েন। তঁহারা উভয়েই তুল্যরূপ অবিবেচক, নির্ব্বোধ ও নৃশংস ছিলেন। সুতরাং অধিক কাল তঁহাদের পরস্পর সম্প্রীতি ও ঐকবাক্য থাকিবেক, এমত কোন সম্ভাবনা ছিল না।
সিরাজউদ্দৌলা, সিংহাসনে আরূঢ় হইয়া, মাতামহের পুরাণ কর্ম্মকারক ও সেনাপতিদিগকে পদচ্যুত করিলেন। কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক কতিপয় অল্পবয়স্ক দুস্ক্রিয়াসক্ত ব্যক্তি তাহার প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইয়া উঠিল। তাহারা প্রতিদিন তাহাকে অন্যায্য ও নিষ্ঠুর ব্যাপারের