পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৯৫

হইতে অনুরোধ করিলেন, এবং কহিলেন এরূপ হইলে সর্ব্বত্র প্রকাশ হইবেক যে গবর্ণমেণ্ট মধ্যে অনৈক্য উপস্থিত হইয়াছে। এতদ্দেশীয় লোকেরা সর্ব্বদাই গবর্ণরকে গবর্ণমেণ্টের প্রধান বিবেচনা করিয়া থাকে; কিন্তু এক্ষণে তাঁহাকে এরূপে ক্ষমতাশূন্য দেখিয়া,সহজেই বোধ করিতে পারে যে রাজবিপ্লব উপস্থিত হইয়াছে। কিন্তু ফ্রান্সিস্ ও তৎপক্ষীয়েরা ক্রোধ-দ্বেষ-পরবশতা প্রযুক্ত তাহা শুনিলেন না।

 দেশীয় লোকের অল্পকাল মধ্যেই কৌন্সিলের এই প্রকার বিবাদের বিষয় অবগত হইলেন; এবং ইহাও জানিতে পারিলেন, যে হেষ্টিংস সাহেব এত কাল সকলের প্রধান ছিলেন, এক্ষণে আর তাঁহার কোন ক্ষমতা নাই। অতএব যে সকল লোক তৎকৃত কোন কোন ব্যাপারে অসন্তুষ্ট ছিল, তাহারা ফ্রান্সিস ও তৎপক্ষীয় মেম্বরদিগের নিকট তাঁহার নামে অভিযোগ করিতে আরম্ভ করিল। তাঁহারাও আন্তরিক যত্ন ও উৎসাহ সহকারে তাহাদিগের অভিযোগ গ্রাহ্য করিতে লাগিলেন। সেই সময়ে, বর্দ্ধমানের অধিপতি মৃত তিলকচন্দ্রের মহিষী স্বীয় তনয়কে সমভিব্যাহারে করিয়া কলিকাতায় আগমন করিলেন। তিনি অবিলম্বে এই আবেদন পত্র প্রদান করিলেন যে আমি রাজার মৃত্যুর পর ইঙ্গরেজ ও তাঁহাদিগের কর্ম্মকারকদিগকে নয় লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়াছি; তন্মধ্যে হেষ্টিংস সাহেব ১৫০০০ টাকা লইয়াছেন। ইহাতে হেষ্টিংস, ৰাঙ্গালা ঐ পারসীতে হিসাব দেখিতে চাহিলেন; কিন্তু রাণী কিছুই দেখাইলেন না।