অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিতে লাগিল। সেই পরামর্শের এই, ফল দর্শিয়াছিল যে তৎকালে প্রায় কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বা কোন স্ত্রীলোকের সতীত্ব রক্ষা পায় নাই।
রাজ্যের প্রধান প্রধান লোকেরা, এই সমস্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পারিয়া, উহার পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তিকে সিংহাসনে বসাইবার চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন। তাঁহারা আপাততঃ সকতজঙ্গকেই লক্ষ্য করিলেন। তাহারা নিশ্চিত জানিতেন তিনিও সিরাজউদ্দৌলা অপেক্ষা ভদ্র হইবেন না; কিন্তু মনে মনে এই আশা করিয়াছিলেন, আপাততঃ এই উপায় দ্বারা উপস্থিত বিপদ হইতে মুক্ত হইয়া পরে কোন যথার্থ ভদ্র ব্যক্তিকে সিংহাসনে নিবিষ্ট করিতে পারিব।
এই বিষয়ে সমুদায় পরামর্শ স্থির হইলে, সকতজঙ্গের সুবাদারীর সনন্দ প্রার্থনায় দিল্লীতে দূত প্রেরিত হইল। আবেদন পত্রে বার্ষিক কোটি মুদ্রা কর প্রদানের প্রস্তাব থাকাতে অনায়াসেই তাহাতে সম্রাটের সম্মতি হইল।
সিরাজউদ্দৌলা, এই চক্রান্তের সন্ধান পাইয়া, অবিলম্বে সৈন্য সংগ্রহ করিয়া, সকতজঙ্গের প্রাণদণ্ডার্থে পূর্ণিয়া যাত্রা করিলেন। সৈন্য সকল, রাজমহলে উপস্থিত হইয়া, গঙ্গা পার হইবার উদ্যোগ করিতেছে, এমত সময়ে সিরাজউদ্দৌলা, কলিকাতার গবর্ণর ডেক সাহেবের নিকট হইতে, আপন পূৰ্বপ্রেরিত পত্রের এই প্রত্যুত্তর পাইলেন, আমি আপনকার আজ্ঞায় কদাচ সম্মত হইতে পারি না।
এই উত্তর পাইয়া তাহার কোপানল প্রজ্বলিত হইয়া