পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭অ
বাঙ্গালার ইতিহাস
১০৫

লেন। যদি কোন ব্যক্তি ঐ আদালতে আসিয়া দিব্য করিয়া কহিত অমুক জমীদার আমার টাকা ধারেন, তবে তিনি শতক্রোশদূরবাসী হইলেও তাঁহার নামে তৎক্ষণাৎ পরোয়ানা বাহির হইত; এবং, কোন ওজর না শুনিয়া, ঐ জমীদারকে ধরিয়া আনিয়া জেলখানায় রাখা যাইত। পরিশেষে, আমি সুপ্রীমকোর্টের অধীন নহি, এই বাক্য বারম্বার কহিলেই সে ব্যক্তি মুক্তি পাইত; কিন্তু তাহাতে তাহার যে অপমান হইত তাহার কোন প্রতিবিধান হইত না। এই কুরীতির দোষ অল্প কাল মধ্যেই প্রকাশ হইতে লাগিল। যে সকল প্রজারা ইচ্ছাপূর্ব্বক কর দিত না, তাহারা, জমীদার ও তালুকদারদিগকে পূর্ব্বোক্ত প্রকারে কলিকাতায় লইয়া যাইতে দেখিয়া, রাজস্ব দেওয়া একবারেই বন্ধ করিল। প্রথম বৎসর সুপ্রীমকোর্টের জজেরা সকল জিলাতেই এইরূপ পরোয়ানা পাঠাইয়াছিলেন; তদ্দৃষ্টে দেশ মধ্যে সমুদায় লোকেরই চিত্তে যৎপরোনাস্তি ত্রাস ও উদ্বেগের সঞ্চার হইল। জমীদারেরা অকস্মাৎ এই এক ঘোরতর নূতন বিপদ উপস্থিত দেখিতে লাগিলেন। যে আইন অনুসারে তাঁহারা বিচারার্থে কলিকাতায় আনীত হইতেন, তাঁহারা তাহার কিছুই জানিতেন না।

 সুপ্রীমকোর্ট ক্রমে ক্রমে এরূপ পরাক্রম বিস্তার করিতে লাগিলেন যে তাহাতে রাজস্ব সংগ্রহের ব্যাঘাত জন্মিতে লাগিল। তৎকালে রাজস্ব কার্য্যের ভার প্রবিন্সলকোর্ট অর্থাৎ প্রদেশীয়-বিচারালয়ের প্রতি অর্পিত ছিল। পূর্ব্বাবধি এই রীতি ছিল, জমীদারেরা করদান বিষয়ে