পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭অ
বাঙ্গালার ইতিহাস
১০৭

মেণ্ট ঐ সকল আদালতের কার্য্য মুরশিদাবাদের নবাবের হস্তে রাখিয়াছিলেন। সুপ্রীমকোর্টের জজেরা কহিলেন, নবাব মুবারিকউদ্দৌলা অপদার্থ কাঠের মুরৎ; সে কিসের রাজা; তাহার সমুদায় রাজ্য মধ্যে আমাদেরই অধিকার। নবাব ইংলণ্ডের অধিপতির অথবা তাঁহার আইনের অধীন ছিলেন না; তথাপি সুপ্রীমকোর্ট তাঁহার নামে পরোয়ানা জারী করা ন্যায্য বিবেচনা করিলেন। জজেরা স্পষ্টই কহিতেন, রাজশাসন কি রাজস্বকার্য্যের সহিত যে যে বিষয়ের সম্পর্ক আছে আমরা সে সমুদায়েরই কর্ত্তা; আর যে ব্যক্তি আমাদের আজ্ঞা লঙ্ঘন করিবেক, ইংলণ্ডের আইন অনুসারে তাহার গুরুতর দণ্ড বিধান করিব। কোম্পানির কর্ম্মকারকদিগের অবিচার ও অত্যাচার হইতে দেশীয় লোকদিগকে রক্ষা করিবার জন্য, এই বিচারালয় স্থাপিত হইয়াছে; অতএব এত অধিক পরাক্রমবিশিষ্ট না হইলে,সে অভিপ্রায় সিদ্ধ হইতে পারে না, বিশেষতঃ সুপ্রীমকোর্টকে সর্ব্বপ্রধান ও সুপ্রীমগবর্ণমেণ্টকে অকিঞ্চিৎকর করাই তাঁহাদের মুখ্য অভিপ্রায় ছিল।

 উপরি লিখিত বিষয়ের উদাহরণ স্বরূপ একটা ফৌজদারী ও একটা দেওয়ানী মোকদ্দমার কথা উল্লিখিত হইতেছে।

 পাটনানিবাসী এক জন ধনবান্ মুসলমান আপন পত্নী ও ভ্রাতৃপুত্র রাখিয়া পরলোক যাত্রা করে। এইরূপ জনরব, যে ধনী ভ্রাতৃপুত্রকে পোষ্য পুত্র করিয়া যায়। ধনির পত্নী ও ভ্রাতৃপুত্র উভয়ে, ধনাধিকার বিষয়ে বিব