পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭অ
বাঙ্গালার ইতিহাস
১১১

এজন্য তিনি তাহাদিগকে প্রবেশ করিতে দিলেন না। তাহাতে অত্যন্ত দাঙ্গা উপস্থিত হইল।

 উকীলের এক জন অনুচর ফৌজদারের পিতার মস্তকে আঘাত করিল; এবং উকীলও, নিজে এক পিস্তল বাহির করিয়া, ফৌজদারের সম্বন্ধিকে গুলী করিলেন। কিন্তু দৈবযোগে তাহা মারাত্মক হইল না। সুপ্রীমকোর্টের জজ, হাইড সাহেব, এই ব্যাপার শুনিয়া তৎক্ষণাৎ ঢাকার সৈন্যাধ্যক্ষকে লিখিয়া পাঠাইলেন, আপনি উকীলের সাহায্য করিবেন; আর ইহাও লিখিলেন যে আপনি উকীলকে জানাইবেন, তিনি যে কর্ম্ম করিয়াছেন তাহাতে আমাদের যথেষ্ট তুষ্টি জন্মিয়াছে; সুপ্রীমকোর্ট তাঁহার যথোচিত সহায়তা করিবেন। ঢাকার প্রবিন্সল কৌন্সিলের সাহেবেরা গবর্ণর জেনেরল বাহাদুরকে পত্র লিখিলেন যে ফৌজদারী আদালতের সমুদায় বিচার কার্য্য এককালে স্থগিত হইল। এরূপ অত্যাচারের পর সরকারী কর্ম্ম নির্ব্বাহ করিতে আর এতদ্দেশীয় লোক পাওয়া দুষ্কর হইবেক।

 গবর্ণর জেনেরল ও কৌন্সিলের মেয়রেরা দেখিলেন সুপ্রীমকোর্ট হইতেই গবর্ণমেণ্টের সমুদায় ক্ষমতা লোপ হইল। কিন্তু কোন প্রকারে তাঁহাদের সাহস হইল না যে কিছু প্রতিবিধান করেন। জজেরা বলিতেন আমরা ইংলণ্ডেশ্বরের নিযুক্ত জজ; কোম্পানির সমুদায় কর্ম্মকারক অপেক্ষা আমাদের ক্ষমতা অনেক অধিক; যে যে ব্যক্তি আমাদের আজ্ঞা লঙ্ঘন করিবেক, তাহাদিগকে রাজবিদ্রোহির দণ্ড দিব। কিন্তু পরিশেষে এমত এক বিষয়