উঠিল। তখন তিনি, ইঙ্গরেজেরা রাজ্যের বিরুদ্ধাচারিদিগকে আশ্রয় দিতেছে, এবং আমার অধিকার মধ্যে গড়বন্দি করিয়া আপনাদিগকে দৃঢ়ীভূত করিতেছে; অতএব আমি তাহাদিগকে নির্মূল করিব, এই প্রতিজ্ঞা করিয়া সৈন্যদিগকে অবিলম্বে শিবির ভঙ্গ করিয়া কলিকাতা যাত্রা করিতে আদেশ দিলেন। কাশিমবাজারে ইরেজদিগের যে কুঠী ছিল তাহা লুঠ করিলেন এবং তথায় যে যে ইউরোপীয়দিগকে দেখিতে পাইলেন তাহাদিগকে কারারুদ্ধ করিলেন।
কলিকাতাবাসি ইঙ্গরেজেরা ষাটি বৎসরের অধিক কাল নিরুপদ্রবে ছিলেন; সুতরাং, বিশেষ আস্থা না থাকাতে, তাঁহাদের দুর্গ প্রায় একপ্রকার নষ্ট হইয়া গিয়ছিল। ফলতঃ,তাহারা আপনাদিগকে এমত নিঃশঙ্ক ভাবিয়াছিলেন যে দুর্গপ্রাচীরের বহির্ভাগে বিংশতি ব্যামের মধ্যেও অনেক গৃহ নির্মাণ করিয়াছিলেন। তৎকালে ‘দুর্গমধ্যে একশত সত্তর জন মাত্র সৈন্য ছিল তন্মধ্যে কেবল ষাটি জন ইউরোপীয়। বারুদ পুরাতন ও নিস্তেজঃ; কামান সকল মরিচাধর। কিন্তু এ দিকে সিরাজউদ্দৌলা চল্লিশ পঞ্চাশ সহস্র সৈন্য ও উত্তম উত্তম কামান লইয়া কলিকাতা আক্রমণ করিতে আসিতেছেন।
ইঙ্গরেজেরা দেখিলেন আক্রমণ নিবারণের কোন সম্ভাবনা নাই; অতএব সন্ধিপ্রার্থনায় বারম্বার পত্র প্রেরণ করিতে লাগিলেন এবং বহুসংখ্যক মুদ্রা প্রদানেরও প্রস্তাব করিলেন। কিন্তু নবাবের অন্য কোন বিষয়ে কর্ণ দিতে ইচ্ছা ছিল না; তিনি তাহাদিগকে একবারেই,